তিনি আর কেউ নন, শাইনি আহুজা। তিনি ‘গ্যাংস্টার’, ‘ভুল ভুলাইয়া’, ‘ও লামহে’, ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’, ‘হাজারো খোয়াহিশে আই’ এবং ‘খোয়া খোয়া চাঁদ’-এর মতো দুর্দান্ত ছবিতে তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে বারবার। ২০০৯ সালে ১৯ বছর বয়সী এক পরিচারিকা তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন, যা শাইনি আহুজার ৩৫ বছরে তৈরি সমস্ত জনপ্রিয়তা নিমেষেক মধ্যেই ধ্বংস করে দেয়। ২০০৯ সালে শাইনি আহুজার বিরুদ্ধে পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং ৫০৬ (মৃত্যুর হুমকি) ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ২০১১ সালে, আদালত শাইনি আহুজাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এই মামলার পর থেকে তার অভিনয় কেরিয়ার থমকে যায়।
advertisement
পরে শাইনি আহুজার পরিচারিকা আদালতে নিজের বক্তব্য পরিবর্তন করে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে। কিন্তু আদালত মনে করে যে চাপ বা ভয়ের কারণে গৃহকর্মী হয়তো এই কথা বলে থাকতে পারে। তবে আদালত শাইনিকে দোষী সাব্যস্ত করে। শাইনি আহুজা ১৯৯৭ সালে অনুপমা পান্ডেকে বিয়ে করেন। তাঁদের আরশিয়া নামে এক মেয়ে রয়েছে। ২০০৫ সালে সুধীর মিশ্র পরিচালিত ‘হাজারো খোয়াশা এসে’ ছবি দিয়ে শাইনি কেরিয়ার শুরু করেন। একই বছর তার অন্য ছবি যেমন ‘করম’, ‘সিনস’, ‘কাল: ইয়েস্টারডে অ্যান্ড টুমরো’ মুক্তি পায়। শাইনি আহুজা ২০০৫ সালে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। গ্যাংস্টার সিনেমায় তার অভিনয় অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কঙ্গনার বিপরীতে তাঁর অভিনয় দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন শাইনি আহুজা লম্বা দৌড়ের ঘোড়া।