TRENDING:

Exclusive: বাবা বলতেন তোকে যা দেখতে নায়িকার বোন ছাড়া চরিত্র পাবি না, অ্যাক্টিং করিস না: রিয়া কাপুর

Last Updated:

অনিল কাপুরের ছোট মেয়ে, সোনমের বোন। সোনামের কেরিয়ারের অনেকটাই তাঁর দায়িত্বে। রিয়া কাপুর। মন খোলা আড্ডায় ফ্যাশন ডিজাইনার, প্রযোজক। নারী কেন্দ্রিক ছবি বানানো, সোনমকে সাজানোর ধরন বাধ পড়ল না কিছুই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ARUNIMA DEY
advertisement

প্র: ফ্যাশেনিস্তা রিয়া কাপুর ব্লেন্ডার’স প্রাইডে-এর ফ্যাশন ট্যুরে অংশ গ্রহণ না করে শুধু বাকি ডিজাইনারদের সাপোর্ট করছে কেন?

উ: আমি একেবারেই অংশগ্রণ করছি না। আমি এবারের গেস্ট। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই বিশাল ফ্যাশন ট্যুর শুরু হবে। অনামিকা খান্না, মণীশ মালহোত্রা, ফেলো কালিক হিসেবে ওঁদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। অনামিকা আমাকে ওঁর ডিজাইন করা একটা ট্রাইবাল জ্যাকেট আর শার্ট দিয়েছে। ওঁর ডিজাইন আমার দারুণ লাগে।

advertisement

প্র: নিঃসন্দেহে এঁরা সকলে খুব ভাল ডিজাইনার। আপনাকে প্রথমেই ফ্যাশনিস্তা বললাম, আপনা কাছে ফ্যাশনের সংজ্ঞা কী?

উ: আমার কাছে ফ্যাশন হল সেল্ফ এক্সপ্রেশন। নিজেকে প্রকাশ করার মাধ্যম। আমি কেমন মানুষ, আমি কী অনুভব করছি, আমি কেমন ম্যুডে রয়েছি পুরোটাই রিফলেক্ট করে ফ্যাশন।

প্র: ফ্যাশনের কথা হচ্ছে, আপনার বোন সোনামের কথা হবে না, সেটা হতে পারে না। সোনমকে যতটা সুন্দর দেখায় তার পুরো কৃতিত্বটাই শুনেছি আপনার?

advertisement

উ: ধন্যবাদ। আই উড লাইক টু বিলিভ দ্যাট।

প্র: সোনমের জন্য যখন ডিজাইন করেন বা নিজের জন্য যখন ডিজাইন করেন দু’টোর অ্যাপ্রোচ কি আলাদা?

প্র: একেবারে আলাদা। আমি এই মুহূর্তে সোনম এবং করিনার জন্য ডিজাইন করছি। আমাকে মাথায় রাখতে হয় যে এঁরা দু’জন পৃথক মহিলা। তাঁদের বডি টাইপ, স্কিন টাইপ আলাদা। জীবনযাপনের ধরনও আলাদা। কী করে এঁরা এক রকম পোশাক পরবে? স্টাইলিস্ট বা ডিজাইনারের কোনও বাঁধা ছক হয় না। কোনও ফর্মুলা নেই। এক একজনের জন্য এক এক রকম পথ বেছে নিতে হয়। স্টাইলিং-এর মধ্যে আমার সিগনেচার থাকুক সেটা জরুরি নয়। জরুরি যাঁকে স্টাইল করছি তাঁকে কী মানাবে।

advertisement

রিয়ার ডিজাইন করা পোশাকে করিনা ৷ ছবি: ইনস্টাগ্রাম ৷

প্র: রিয়া ডিজাইনিং আর প্রডিউসিং দু’টো মেরুর জিনিস, প্রযোজনা করার ইচ্ছেটা জন্মালো কোথা থেকে?

উ: দেখুন আমি ছোট থেকে খুব ক্রিয়েটিভ। একটা সময়ের পরে বুঝতে পেরেছিলাম শুধু ডিজাইনিং করে আমার সৃজনশীলতা সন্তুস্ট হচ্ছে না। সিনেমার পরিবারে জন্মেছি। বাবা অভিনেতা, কাকা প্রডিউসার ওখান থেকে ইনস্পিরেশন। একটা কাজে বোর হয়ে যাই। ক্রিয়েটিভ কাজ করতে ভাল লাগে আমার। ‘ভিরে দি ওয়েডিং’-এ যেমন প্রযোজনা, ডিজাইনিং দু’টোই করেছি। সব কিছু মিলিয়েই ছবি বানানোর পথ চলা শুরু।

advertisement

প্র: প্রযোজনা করবেন যখন সিদ্ধান্ত নিলেন তখনই ঠিক করে ফেলেছিলেন মহিলা কেন্দ্রিক ছবি করবেন?

উ: কিছুটা। ‘খুবসুরত’ বানানোর পর ঠিক করি নারীদের নিয়ে ছবি বানাবো। মেয়েদের কথা বলবো সেলুলয়েডে। যখন মেয়ে থেকে মহিলা হলাম তখনই এই সিদ্ধান্তটা নিই। আর আমার মনে হয় আমি মেয়েদের কথাই বেশি গুছিয়ে বলতে পারি। অনেক নারীর চেয়ে নারী মন বেশি বুঝি।

প্র: নারী মন ভাল বোঝেন, তাই কি ‘ভিরের’ সময় করিনা প্রেগনেন্ট হয়ে গিয়েছিল। আপনি ছবির শ্যুটিং বন্ধ করে তৈমুর হওয়া অবধি অপেক্ষা করলেন? ‘হিরোইন’-এর সময় ঐশ্বর্য রাই বচ্চন প্রেগনেন্ট হওয়ায় কী হইচই পড়ে গিয়েছিল, করিনাই তাঁকে রিপ্লেস করেছিল।

উ: আমি মহিলা প্রযোজক হয়ে যদি সেটা না বুঝি, কে বুঝবে বলুন। মেল স্টারদের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করা যায়। করিনাও একজন মেগা স্টার। আমার ছবির জন্য ওঁকে প্রয়োজন ছিল। নায়করাই গুরুত্ব পাবে, সেটা কি ঠিক?

রিয়ার ডিজাইনে সোনম ৷ছবি: ইনস্টাগ্রাম ৷

প্র: প্রযোজনা হোক বা ডিজাইনিং, পুরুষ শাসিত জগতে প্রতিভাবান নারী হওয়া কী মুশকিল?

উ: দেখুন যেখানে অথোরিটির ব্যাপার আসে, মেয়েদের এগিয়ে দিতে আজও সমাজের অসুবিধে হয়। সেটা আমি প্রতি পদক্ষেপে বুঝি। কিন্তু আমার নামের পাশে কাপুর রয়েছে। আমার পরিবারের জন্যই খুব খারাপ সময় আমায় দেখতে হয়নি। প্রটেকটেড ছিলাম। তাও আপনি মহিলা এবং আপনি ক্ষমতার অধিকারী এটা মেনে নেয় না সমাজ, সেটা সত্যি। আমার ছবিতেও বার বার সে কথা রাখার চেষ্টা করি।

প্র: ‘ভিরে দে ওয়েডিং’-এর সাফল্যের পর কি কনফিডেন্স পেলেন ফিমেল প্রটাগেনিস্ট নিয়ে ছবি করলে মানুষ দেখবে?

উ: ‘আয়েষা’ থেকেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম এরকম ছবির দর্শক রয়েছে। আমি যখন আমার মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিই ‘আষেয়া’, ‘ভিরে দি ওয়েডিং’ এরকম ছবিই দেখতে চাইব। এরকম দর্শক প্রচুর আছেন যাঁরা ফেমিনিটি পছন্দ করেন। যখন আমার ছবি চলতো না আমি বসে কাঁদতাম। ভাবতাম আমি কি খারাপ ছবি বানাই?

প্র: সমালোচনায় ভেঙে পড়েন? যখন সকলে বলে আপনার ছবিতে শুধুই দামী জামাকাপড় থাকে, কষ্ট হয়?

উ: ছবির নায়কদের যখন দামী গাড়ি, বাইক এসবের শখ থাকে কারও তো সমস্যা হয় না। মেয়েদের ফ্যাশন, ড্রেসিং ভাল লাগে আমি সেটাই দেখাই। সমালোচনায় কান দিই না। আসলে অনেকের বাস্তব মেনে নিতে সমস্যা হয়।

প্র: সেটা কিছুটা ঠিক। আমি কিন্তু আপনাকে পার্শিয়াল বলবো। আপনি সোনমকে সাজান, ছবিতে নেন, ভাই হর্ষবর্ধনকে নিয়ে কিছু ভাবছেন না?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কাজ নেই-র দিন শেষ,ছাদের তলায় বসেই কয়েক হাজার টাকা রোজগার ঘরের বউদের,সংসার চলছে রমরমিয়ে
আরও দেখুন

উ: ভাবছি। বাবাকে নিয়েও ভাবছি। তিনটে স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ চলছে। আগামী বছর দু’টো বানাবো। ঠিক স্ক্রিপ্ট না পেলে ভাই বা বাবাকে নিয়ে কাজ করব না। ওঁদের সামনে এমন একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চাই, যাতে ওঁরা না করতে না পারে। একটা মজার কথা মনে পড়ে গেল। বাবা আমাকে ছোটবেলা থেকে বলতেন তোকে যা দেখতে তাতে নায়িকার বোন ছাড়া চরিত্র পাবি না। তাই অ্যাক্টিং করিস না। অনিল কাপুরের কথা শুনে আমার বেশ লাভ হয়েছে।

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Exclusive: বাবা বলতেন তোকে যা দেখতে নায়িকার বোন ছাড়া চরিত্র পাবি না, অ্যাক্টিং করিস না: রিয়া কাপুর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল