FIR-এ নাম রয়েছে রিয়া চক্রবর্তী, ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, বাবা ইন্দ্রজিত চক্রবর্তী, মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী ছাড়াও স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং শ্রুতি মোদি-সহ আরও এক অজ্ঞাতপরিচয়ের নাম। আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, চুরি, প্রতারণা-সহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বিহার পুলিশের সঙ্গে সংযোগ রেখে তদন্ত চালাবে। এক বিবৃতিতে সিবিআই জানিয়েছে, "বিহার সরকারের অনুরোধে ও কেন্দ্র সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে মামলা রুজু করা হয়েছে। ৬ অভিযুক্ত ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।"
advertisement
সূত্রের খবর, সিবিআই-এর নির্দেশক হৃষিকেশ শুক্লার নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল বয়া সিট গঠন করা হয়েছে। দলের নেতৃত্ব দেবেন সিবিআইয়ের যুগ্ম নির্দেশক মনোজ শশীধর। দলে রয়েছেন দু'জন দুঁদে মহিলা আধিকারিক, ডিআইজি সিবিআই গগনদীপ গম্ভীর এবং সিবিআই এসপি নূপুর প্রসাদ। তবে মূল তদন্তকারী আধিকারিক সিবিআইয়ের এসপি অনিল যাদব। উল্লেখ্য, অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড কপ্টার কেলেঙ্কারি এবং বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্ত করেছে দলটি। জানা গিয়েছে, আপাতত দুটি দলে ভাগ হয়ে তদন্ত চালাবেন আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, ২৫ জুলাই পটনায় রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। সুশান্তের মৃত্যুর পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল মুম্বই পুলিশ। কিন্তু সুশান্তের বাবার এফআইআর করার পর ২৬ জুলাই থেকে বিহার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মুম্বই পৌঁছয় বিহার পুলিশের একটি দল। পাশাপাশি, মঙ্গলবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আবেদন করেন, মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। অবশেষে বুধবার ৫ অগাস্ট সিবিআই সুশান্ত আত্মহত্যা মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। তারপরেই এ দিনের এই পদক্ষেপ।