এই সব দিক পর্যালোচনা করেই তাঁকে সরানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede) নিজে। বরং তাঁর দাবি, তিনি নিজেই চাইছিলেন এই মামলা যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দায়িত্ব নেয়। তিনি জানান, তিনিই এখনও এনসিবি (NCB) মুম্বইয়ের জোনাল ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। তাঁর অধীনে ছটি মামলা ছিল বলে জানান। কিন্তু যে মামলাগুলিতে সমস্যা তৈরি হয়েছিল সেগুলি নিযুক্ত হওয়া একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান। যে মামলাগুলি হস্তান্তর করা হল, সেগুলির জন্য নতুন করে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আরিয়ানের (Aryan Khan) মামলাটিও।
advertisement
আরও পড়ুন- দীপাবলিতে ঋতাভরীর সঙ্গে নিখিল জৈন! সময় কাটল এক ঝাঁক খুদের মাঝে
সমীর ওয়াংখেড়ের (Sameer Wankhede) বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলে ভাইরাল হয়েছিলেন মাদককাণ্ডের সাক্ষী কেপি গোসাভি। কেপি গোসাভির গাড়ির চালক প্রভাকর সাইল দাবি করেছিলেন, গোসাভির সঙ্গে এনসিবির আর্থিক লেনদেন হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে সাক্ষী সাজানোর অভিযোগ ওঠে এনসিবি অফিসারের বিরুদ্ধে। তার আগে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে আরিয়ান মামলার সমাধান করার অভিযোগও ওঠে ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। তবে তিনি অভিযোগুলি অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেন, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বার বার তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনা নিয়ে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। আর তাই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।
আরও পড়ুন - মৃত্যুর আগে সিদ্ধার্থের সঙ্গে ব্রেক আপ হয়ে গিয়েছিল? স্পষ্ট জবাব শেহনাজের
প্রসঙ্গত, মাদক মামলায় জামিনের শর্ত অনুযায়ী শুক্রবার এনসিবি অর্থাৎ নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসে হাজিরা দিলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান (Aryan Khan) । গত ২৮ অক্টোবরই বম্বে হাইকোর্টে জামিন পেয়েছিলেন আরিয়ান। কিন্তু বাড়ি ফিরতে পারেন তার ২ দিন পর। ১ লক্ষ টাকার বন্ডে আরিয়ান খানের জামিনদার হয়েছিলেন শাহরুখের বন্ধু-আইপিএল দলের পার্টনার এবং অভিনেত্রী জুহি চাওলা। গত ২ অক্টোবর আরিয়ানকে গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে গ্রেফতার করা হয়।