শুধু সুশান্তের মৃত্যু নয়, আজ যখন গোটা দেশ হাথরসের নির্যতিতা দলিত কন্যার হয়ে প্রশ্ন তুলছে, তখনও তাঁরা চুপ। কিন্তু সব বিষয়ে তাঁরা কথা নাই বলতে পারেন। তাহলে হঠাৎ শাহরুখকে নিয়েই কেন বলা হচ্ছে। বিতর্কের শুরু হয়েছে শাহরুখের একটি পোস্ট নিয়ে।
গতকাল মহাত্মা গান্ধির ১৫১ তম জন্মদিনে অভিনেতা তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি টুইট করেন। সেখানে লেখা, ‘এই গান্ধি জয়ন্তীতে আমরা আমাদের সন্তানদের খারাপ কিছু না শোনার, দেখার এবং বলার শিক্ষা দেব।” ‘জাতির জনক’-এর আদর্শে নিজের অনুরাগীদের অনুপ্রাণিত করতে চেয়েছিলেন অভিনেতা। তিনি জানতেন না এই ট্যুইট থেকেও বিতর্ক হতে পারে।
advertisement
শাহরুখের সঙ্গে ২০১৬ সালে ফ্যান ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সায়নী গুপ্ত। সায়নী এই পোস্ট দেখে ক্ষেপে যান। তিনি লেখেন "আপনি মুখ খুলুন। ঠিক কথাটা বলুন। গান্ধিজি আমাদের শিখিয়েছিলেন, নিপীড়িতও, শোষিত এবং আমাদের দলিত ভাই-বোনদের জন্য আওয়াজ তুলতে। নিজের চোখ, কান, মুখ বুজে বসে থাকবেন না।" সায়নীর এই ট্যুইটের পর অনেকেই সমালোচনা শুরু করেছেন অভিনেতার। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন কিসের ভয়ে এভাবে গুটিয়ে থাকেন সমাজের মুখেরা? টাকা, নাম, হারানোর ভয় এখনও গেল না ! এবার তো কথা বলুন।
তবে শাহরুখ কখনই কোনও বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন না। তিনি নিজের কাজ ও জগত নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সায়নীর অভিযোগের পরেও শাহরুখ কোনও রিপ্লাই করেননি। প্রসঙ্গত, সারা দেশে এখন আগুন জ্বলছে। হাথরসের ১৯ বছরের দলিত কন্যাকে গণ-ধর্ষণ, জিভ কেটে নেওয়া, রাতের অন্ধকারে কাউকে না জানিয়ে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া, মিডিয়াকে ঢুকতে না দেওয়া, নির্যাতিতার পরিবারকে পুলিশি গার্ড দিয়ে ভয় দেখিয়ে ঘরে বন্দি করে রাখার মতো ঘটনা সামনে এসেছে । এই ঘটনায় আগুন জ্বলছে গোটা দেশে। মেনে নেওয়া যাচ্ছে না এই ভয়াবহ ঘটনা। সেখানে শাহরুখ খানের এই ধরণের পোস্ট দেখে নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি সায়নী গুপ্ত।