জ্যুম-এর এক সাক্ষাৎকারে জায়েদ জানান যে, সুজান খানের সঙ্গে হৃতিকের বিবাহবিচ্ছেদের পরেও অভিনেতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে কোনও রকম আঁচ পড়েনি। এদিকে হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে অভিনেত্রী সাবা আজাদের। আর সুজানও আরসালান গোনির সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। ফলে মজা করে নিজেদের পারিবারিক আড্ডার সঙ্গে জনপ্রিয় মার্কিন সিটকম ‘মডার্ন ফ্যামিলি’-র তুলনা দেন জায়েদ। বলেন, “আমরা ঠিক নতুন মডার্ন ফ্যামিলির মতো। বিষয়টা বেশ দারুণ। সকলেই সব কিছু গ্রহণ করেছেন। তবে সেই জায়গায় আসতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। কিন্তু একসঙ্গে থাকলে সব কিছুই সুন্দর হয়ে যায়। আমরা একসঙ্গে পার্টি করি। একই ছাদের তলায় আড্ডাও দিই।”
advertisement
হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কের প্রসঙ্গে জায়েদের বক্তব্য, “যখনই কোনও বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়, আমি তো ডুগ্গু (হৃতিক রোশন)-কে কল করি। তাঁর মতামত জানতে চাই। ও তো খুবই ভাল। কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা আপনার সঙ্গে সব সময় মিষ্টি আচরণ করবেন তেমনটা নয় কিন্তু। বিষয়টা তাঁরা সঠিক ভাবেই বলে দেবেন। আর ও নিজেও এমনই এক মানুষ। আমি সত্যিই ওকে খুবই ভালবাসি।”
সেই সঙ্গে সুজানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে হৃতিকের সঙ্গে বিবাদ প্রসঙ্গে জায়েদ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, “কখনওই না। আমাদের সম্পর্ক কখনওই নষ্ট হয়নি। এমনকী আমরা সেটাই করেছি, যা একজন শ্যালক-ভগ্নিপতির করা উচিত। আমরা একই ছিলাম। কারণ দিনের শেষে ওর সন্তান তো আমারও সন্তান… কারণ ওরা আমার হাতেই বড় হয়েছে। আর এসব ক্ষেত্রে আমরা তো পরিণত। এর থেকেও জরুরি বিষয় রয়েছে। ওটা ওদের বিষয় ছিল। আর যা হওয়ার ছিল, সেটা তো হয়েই গিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন হৃতিক-সুজান। ২০০৬ সালে দম্পতির কোল আলো করে আসে তাঁদের প্রথম সন্তান রেহান। আর ২০০৮ সালে জন্মায় দ্বিতীয় সন্তান হৃধান।
