বইটিতে রাজ কাপুরকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে তিনি এমন এক গল্পের চিত্রায়ণ করতে চেয়েছিলেন যেখানে একজন পুরুষ এক মহিলার অপূর্ব কণ্ঠস্বর শুনে মুগ্ধ হচ্ছেন, যদিও সেই মহিলা তাঁর কণ্ঠস্বরের মতো রূপবতী নন। আর সেই নারীর চরিত্রে লতা মঙ্গেশকরকে কাস্ট করতে চেয়েছিলেন তিনি। রাজ বিশ্বাস করতেন যে ভালোবাসা সম্পর্কের বিশুদ্ধতার উপরে নির্ভর করে, শারীরিক সৌন্দর্যের উপরে নয়। সেখান থেকেই এমন এক গল্প নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন। জানা যায়, লতা মঙ্গেশকর ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হয়েছিলেন তবে পরে কোনও কারণে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
advertisement
সাংবাদিক বীর সাংভির (Vir Sanghvi) আত্মজীবনীতে রাজ কাপুর সম্পর্কে অনেক কিছুই লেখা রয়েছে। সাংভি বলেছেন, যে সত্যম শিবম সুন্দরম সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে অনেক কথা বলেছিলেন রাজ। তিনি বলেছিলেন, ‘একটা পাথর হাতে নিন। তাতে কিছু ধর্মীয় চিহ্ন রাখুন এবং তাতেই তা ঈশ্বরে পরিণত হবে। আপনি কী ভাবে কোন বিষয় দেখেন, এই দৃষ্টিভঙ্গীটাই গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন, আপনি একটা সুন্দর কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন। কিন্তু পরে আবিষ্কার করলেন যে এটি একটি কুৎসিত মেয়ের কন্ঠ’।
রাজ কাপুর একটু থেমে আরও বলেছিলেন যে এই ' কুৎসিত' ব্যাপারটার প্রসঙ্গ আসতেই রেগে গিয়েছিলেন লতা। সেই প্রথম নয়, বীর সাংভি তাঁর সেই আত্মজীবনীতে দাবি করেছেন এর আগেও এই ছবির স্বার্থে রাজ জানিয়েছিলেন লতার রূপ এবং গলার স্বরের মধ্যে যে এই বৈপরীত্য, সেই বিষয়টাই ভীষণভাবে টেনেছিল তাঁকে। জানা যায়, এই সিনেমায় আর গান গাইবেন না বলে মনস্থির করেছিলেন বলিউডের সুরসম্রাজ্ঞী। পরে অবশ্য তাঁর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করে নেন রাজ!