এবার সেই তদন্তে এল এক চাঞ্চল্যকর মোড়। আসলে হামলার দিন অভিনেতার বাড়ি থেকে পাওয়া ফিঙ্গারপ্রিন্টের সঙ্গে ধৃতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলে গিয়েছে বলে খবর। যদিও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও হাতে এসে পৌঁছয়নি।
আরও পড়ুন: ভারত ছাড়াও অনেক দেশের নোট ছাপা হয় ভারতের টাঁকশালে, কোন কোন দেশের জানলে চমকে উঠবেন
advertisement
বৃহস্পতিবার একজন পুলিশ আধিকারিক নিশ্চিত করে জানান যে, সইফ আলি খানের বাসভবনের দুই কর্মী শরিফুল ফকিরকে শনাক্ত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, শরিফুলই বাড়িতে ঢুকে অভিনেতার উপর হামলা চালিয়েছে। এর আগে এই হামলার তদন্তের স্বার্থে আর্থার রোড জেলে আইডেন্টিফিকেশন প্যারেড বা আইপি প্যারেড করিয়েছিল মুম্বই পুলিশ।
গত মাসে সিটি পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল যে, ফেসিয়াল রেকগনিশন টেস্টে শনাক্ত করা হয়েছে বাংলাদেশি ধৃত ওই ব্যক্তিকে। বান্দ্রা এলাকার সতগুরু শরণ বিল্ডিং অর্থাৎ অভিনেতার বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গিয়েছিল, তার সঙ্গে ধৃতের মুখ মিলে গিয়েছে। অভিযোগ, গত ১৬ জানুয়ারি বলিউড তারকার ১২-তলা অ্যাপার্টমেন্টে ভেঙে ঢুকে পড়েছিল শরিফুল। এরপর সইফকে প্রায় ৬ বার কোপ মেরে পালিয়ে যায় সে।
ঘটনার ঠিক তিন দিন পরে সংলগ্ন এলাকা থানে সিটি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ছুরিকাহত হওয়ার পরে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নিকটবর্তী লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৫৪ বছর বয়সী অভিনেতা সইফ আলি খানকে। সেখানে তাঁর ২টি অস্ত্রোপচার হয়েছিল। গত ২১ জানুয়ারি ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছিলেন অভিনেতা।
প্রসঙ্গত হামলার সময় মুম্বই পুলিশ জানিয়েছিল যে, গত ১৬ জানুয়ারি মাঝরাতে ডাকাতির চেষ্টা হয় সইফ আলি খানের বাসভবনে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য সইফ আলি খানের বাড়িতে হাজির হয় মুম্বই পুলিশ এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চ। শুরু হয় হামলাকারীর খোঁজ। তারা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলাকারীকে শনাক্ত করেছিলেন।
একটি বিবৃতি দিয়ে পুলিশ জানিয়েছিল যে, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি অভিনেতা সইফ আলি খানের বাসভবনে ঢুকে পড়েছিল। এই নিয়ে সেই আততায়ী এবং অভিনেতার মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়েছিল। এরপর আচমকাই অভিনেতার উপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে বসে অভিযুক্ত।