অনিমেষ শিকদার (Animesh Sikdar)পেশায় একজন ডক্টরেট ম্যানেজার পদ মর্যাদার সরকারি চাকুরিজীবী। কিন্তু এই পরিচয় ছাড়াও তাঁর একটি অন্য পরিচয় রয়েছে। তিনি যখন গান করেন তখন বোঝার উপায় নেই, যে গানটা তিনি গাইছেন নাকি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়! হুবহু সন্ধ্যার গলায় গাইতে পারেন এই ভদ্রলোক। তবে আজ থেকে নয় ১৯৮১ সাল থেকে এই গলায় গান গাইছেন তিনি। বহু জায়গায় স্টেজ শো করতে যান তিনি। তাঁর স্টেজের নাম বাপি। আর বাপি মানেই যেন মানুষ বসে থাকেন সন্ধ্যার গান শোনার জন্য। কিন্তু একজন পুরুষ হয়ে এই গলায় কী ভাবে গান করেন তিনি।
advertisement
অনিমেষ শিকদার (Animesh Sikdar)জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেও জানেন না, কী ভাবে তাঁর গলা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে যায়। জনপ্রিয় ক্যুইজ শো 'দাদাগিড়ি'-তেও এসেছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করেন দাদা সৌরভ, কী ভাবে গান করেন আপনি? তার উত্তরে অনিমেষ শিকদার জানান, "আমি নিজেও জানি না কী করে হয়। এ ভগবানের দান।"
তিনি আরও জানান, খুব ছোটবেলা থেকেই লতা, সন্ধ্যা, গীতা দত্তের গান গাইতেন তিনি। কিন্তু বয়সসন্ধীকালে তাঁর গলার স্বর বদলে যায়। সে সময় গান ছেড়ে দেন তিনি। কিন্তু মনের কষ্ট বাড়তে থাকে। ফের চর্চা শুরু করেন তিনি। এবং একদিন তিনি সন্ধ্যা কণ্ঠী হয়ে যান। একটি শোতে প্রথমবার তাঁর গান শুনে সকলে ভেবেছিলেন এ কী করে সম্ভব! সেই থেকেই মঞ্চে গানের শুরু।
এমনকি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় নিজেও অবাক হয়েছিলেন অনিমেষের গান শুনে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'এও সম্ভব! কী করে এই গান গায় !" দেখাও করেছেন তিনি অনিমেষ শিকদারের(Animesh Sikdar) সঙ্গে। শুধু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নন, তাঁর গলা শুনলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না। কী ভাবে তিনি হুবহু সন্ধ্যার মতো গান করেন, তা এক রহস্য হয়েই থেকে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে সন্ধ্যা কণ্ঠী অনিমেষ শিকদারকে নিয়ে। তবে শুধু তিনি নন, তাঁর এক জুটিও রয়েছে পিকলু। সে আবার একেবারে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো গান করেন। বাপি-পিকলু জুটি নিয়ে ফের একবার আবেগে ভাসছেন নেটিজেনরা।