আসলে মঞ্চে আরাধ্যা উঠতেই তার জন্য গলা ফাটাতে শুরু করেন অমিতাভ। এমনকী গর্ব ভরে ক্যামেরাবন্দি করতে থাকেন আদরের নাতনির পারফরম্যান্স। আর নিজের প্রতিক্রিয়াও ব্লগে তুলে ধরেছেন বলিউড সুপারস্টার। আরাধ্যার স্কুলের অ্যানুয়াল ডে-তে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে অমিতাভ লিখেছেন যে, “শিশুরা… মা-বাবাদের উপস্থিতিতে তাদের নিষ্পাপ মনোভাব আর মনের ইচ্ছা যেন বেড়ে যায়… সত্যিই আনন্দের বিষয়… যখন তাঁরা হাজার হাজার জনের সঙ্গে মিলে আপনার জন্য পারফর্ম করেন… এটা একটা আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা… আজকের দিনটাও ঠিক তেমনই ছিল… শুভ রাত্রি… আগামিকালের জন্য..”
advertisement
কাজের দিক থেকে অবশ্য খুব বেশি তথ্য ভাগ না করে নিয়ে অমিতাভ জানিয়েছেন যে, তিনি সঙ্গীত দুনিয়ার কিংবদন্তি শিল্পীদের সঙ্গে দিনটা কাটিয়েছেন। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বিগ বি বলেন যে, “একদিনের বিশ্রামের পর আগামিকাল কাজে ফিরছি.. কিন্তু কাজ থেমে থাকবে না.. এবং এরপর ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে যেতে মনোযোগ, সম্মতি এবং নিশ্চিতকরণের প্রয়োজন.. তাই.. কিন্তু সঙ্গীত জগতের সবচেয়ে প্রতিভাধর এবং প্রতিভাবান কিংবদন্তি নক্ষত্রদের মধ্যে দুজনকে নিজের কাজের জায়গায় পাওয়ার দারুণ আনন্দ, এর থেকে আনন্দের আর কিছুই হয় না.. তাঁদের যে কী বিশেষ উপহার এবং প্রতিভা রয়েছে… আমার মতো ঈর্ষা করার মতো অবস্থা.. মনে হয়, আমি যদি তাঁদের মতো হতে পারতাম.. এখন শেখার সময় ফুরিয়ে গিয়েছে.. তবে তাঁদের সঙ্গ পাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে, যা একজনকে নৈপুণ্যের মূল বিষয়গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বাধ্য করে .. তাড়াতাড়ি সংযোগের আশায়..” ..
আরাধ্যার অ্যানুয়াল ডে-র অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে আবার মা বৃন্দা রাইকে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন ঐশ্বর্য। সঙ্গে অবশ্য ছিলেন অভিষেকও। অনুষ্ঠান শেষে বেশ উচ্ছ্বসিতই দেখা গেল এই তারকা জুটিকে। পাপারৎজিরা যখন ছবি তুলছেন, সেই সময় সমস্ত আলোর ঝলকানি থেকে কন্যাকে রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন ঐশ্বর্য। এরপর আরাধ্যাকে স্নেহচুম্বন দিয়ে গাড়িতে উঠে যান। প্রসঙ্গত বচ্চন পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও সইফ আলি খান, করিনা কাপুর খান, শাহিদ কাপুর, মীরা রাজপুত, করণ জোহরের মতো তারকারাও উপস্থিত হয়েছিলেন অনুষ্ঠানে।