প্রার্থনা করেছিল সবাই- এ লড়াই থামুক জীবনের জয়ে৷ ঐন্দ্রিলা হয়ে উঠেছিল কত অচেনা অজানা মানুষের মেয়ে৷ তার সঙ্গে একই আকাশের নীচে বাঁচতে চেয়েছিল কত হেরে যাওয়া মানুষ৷ ঐন্দ্রিলা নিজেও বিশ্বাস করতেন, এত আনন্দ আয়োজন সবই বৃথা আমায় ছাড়া৷ আজ সবটাই শেষ হয়তো৷ পরপর দুবার ক্যানসার, ব্রেন স্ট্রোক, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হৃদরোগের কাছে হেরেই গেল সব প্রার্থনা, নিরলস চিকিৎসা৷
advertisement
স্মৃতি ফিকে হয় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। জীবনের ধর্ম বোধ হয় এটাই। কিন্তু মায়ের কাছে সন্তান শোকের থেকে বড় শোক আর কিছু নেই। সব ঠিক থাকলে আর চার মাস পরেই বিয়ে হত ঐন্দ্রিলা সব্যসাচীর। শিখা শর্মা বলেন, ‘২০২৩-এর ১২ মার্চ ওদের বিয়ের ঠিক হয়েছিল। শুধু রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে, খুব কাছের লোকজনকে নিয়ে ঘরোয়া অনুষ্ঠান। সব্যসাচী নভেম্বরে বিয়ে করতে চেয়েছিল। ঐন্দ্রিলা বলেছিল, না মা চুলটা আরও একটু বড় হোক, সুন্দর হয়ে তারপর সাজব।’
আমি ভালবাসি যারে, সে কী কভু আমা হতে দূরে যেতে পারে…’ সব্যসাচীর মতো আমরাও ভেবেছিলাম এমনই৷ সব্যসাচী ঐন্দ্রিলার মধ্যে থাকা আরও একটা প্রাণশক্তির নাম৷ প্রেমিক শব্দটা বোধ হয় বড়ই ছোট তাঁর জন্য বলার৷ বরং ঐন্দ্রিলার সহযোদ্ধাই ছিলেন তিনি৷ তাঁর বিশ্বাস ছিল নিজের হাতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন ঐন্দ্রিলাকে৷ লড়াই চালাতে চালাতে প্রার্থনা করেছিলেন অলৌকিকেরও৷ “আমার ঐন্দ্রিলা আছে, প্রচন্ডভাবে আছে… ঠিক ফিরে আসবে৷ ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে৷” তাঁর এক একটা লেখায় ভরসা পাচ্ছিল কত লক্ষ কোটি মানুষ৷ কিন্তু সেই বিশ্বাসও ফুরলো৷