TRENDING:

Agnimanthan: সমাজ আর রাজনীতির নেপথ্যকথার অগ্নিমন্থন; বাঙালির খাস কথা বাংলার প্রেক্ষাগৃহে

Last Updated:

অগ্নিমন্থন ছবির এটাই মজা, যা আমরা জানি, যা আমাদের বোধকে ভোঁতা করে দিয়েছে, জড়ো হয়েছে কেবল অপ্রাপ্তি আর বঞ্চনা, সেখানেই এবার এসে পড়ল একটা আগুনের ফুলকি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: শব্দটা অভিধানে ছিলই! আচমকা তোলপাড় প্রতিবাদে চেনা হয়ে যায় গত কয়েক বছর ধরে সবার। নেপোটিজম কী এবং কেন, তা আর কাউকে আলাদা করে বুঝিয়ে দিতে হয় না। আমরা সবাই জীবনে, সমাজে এর অভিঘাতে কোথাও না কোথাও বিপর্যস্ত। দুর্নীতিও এমন ভাবে মিশে গিয়েছে জীবনের পরতে পরতে, শব্দ তার গুরুত্ব হারিয়েছে। আর এরই সঙ্গে ক্রমাগত আপোস করতে করতে গঙ্গা দিয়ে বয়ে চলেছে জলের ধারা, কালের ধারায় শেষ হয়ে যাচ্ছে জীবন, এক দল কেবলই পাচ্ছে আর বাকিরা গুনে চলেছে এবার কী হারাল!
অগ্নিমন্থন ছবির একটি দৃশ্য
অগ্নিমন্থন ছবির একটি দৃশ্য
advertisement

দিব্যজ্যোতিও একদা ছিলেন তাঁদেরই একজন, পরিচালক প্রবীর রায়ের হাত ধরে যাঁর সূত্রে সমাজ আর রাজনীতির অতি চেনা ছবি উঠে এসেছে প্রেক্ষাগৃহের পর্দায়। অগ্নিমন্থন ছবির এটাই মজা, যা আমরা জানি, যা আমাদের বোধকে ভোঁতা করে দিয়েছে, জড়ো হয়েছে কেবল অপ্রাপ্তি আর বঞ্চনা, সেখানেই এবার এসে পড়ল একটা আগুনের ফুলকি।

advertisement

আরও পড়ুন- বাড়ল শহরের উষ্ণতা! লঞ্চ হল ফেস ক্যালেন্ডার; কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে যেন চাঁদের হাট

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অগ্নিমন্থন। শনিবার বিজলি প্রেক্ষাগৃহে তারই এক বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন স্তব্ধ করে দিয়েছিল দর্শক এবং অভ্যাগতদের। পরিচালক প্রবীর রায়ের মুন্সিয়ানায় এই ছবি যে সবার জীবনের অস্বস্তির গল্প বলে, মনে করিয়ে দেয় সেই স্বপ্নের যা পূর্ণ হওয়ার মুখে এসেও আটকে গিয়েছিল।

advertisement

কখনও সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিপক্ষ, কখনও বা আপনজন। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র দিব্যজ্যোতির সঙ্গেও ঠিক যা হয়। সুবিধাভোগীর পৃথিবীতে তাঁর চুপ করে থাকা অসম্ভব হয়ে ওঠে জামাই অভিমন্যুর মৃত্যুতে। আদ্যন্ত সৎ এই মানুষ হাতিয়ার হিসাবে বেছে নেন শিল্পকে। ঠিক করেন- তিনি সমাজের সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত সংগ্রহ করবেন। কিন্তু বাধা আসে, আসতেই থাকে, পরিবার এবং বিরোধীদের তরফে। এক সময়ে থেমে যায় দিব্যজ্যোতির প্রচেষ্টা।

advertisement

আর ঠিক এই জায়গায় এসে আমরা সবাই যারা বিশ্বাস হারাতে চলেছি, তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে অগ্নিমন্থন। দিব্যজ্যোতির পাশে যেভাবে এসে দাঁড়ান এক পরিচালক, দিব্যজ্যোতিকে নিয়ে তৈরি তাঁর তথ্যচিত্র পৌঁছে যায় জনতার আদালতে। বাকিটুকুর জন্য পা বাড়ানো যায় প্রেক্ষাগৃহে, সেখানে আমরা প্রত্যেকে মুখোমুখি হতে পারব আমিত্বের মন্থনে, যাকে অবহেলা নয়, লালন করাই সকলের উচিত।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

এই কাজে আমাদের সাহায্য করবেন মেঘনাদ ভট্টাচার্য, মৌমিতা গুপ্ত, ওশনি দাস, মৈত্রেয়ী মিত্র, ঋক দে, বৈশালী মজুমদার এবং সুবীর ভট্টাচার্যের মতো প্রথিতযশা এবং আরও অনেক প্রতিভাময় অভিনেতারা। কেন না, দিব্যজ্যোতির ছবির মতো জীবনও কখনও কখনও হয়ে ওঠে অসম্পূর্ণ, তখন তাকে পূর্ণ করার দায়িত্ব যে থাকে আমাদের সকলেরই! ছবির কাহিনী এবং স্ক্রিপ্ট লিখেছেন অশোক রায় ৷

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Agnimanthan: সমাজ আর রাজনীতির নেপথ্যকথার অগ্নিমন্থন; বাঙালির খাস কথা বাংলার প্রেক্ষাগৃহে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল