জনসাধারণের কাছ থেকে নিজের ব্যক্তিগত জীবন গোপন রাখতেই পছন্দ করেন আদাহ। News18 -র সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তাঁর বাসস্থানের বিষয়টাই তুলে ধরলেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “আমার মনে হয় দর্শক, সংবাদমাধ্যম এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হয়তো ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছেন যে, আমি খুবই ব্যক্তিগত মানুষ। আমি যা যা করছি বা করব, সেটার ঝলকই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরি। কিন্তু যা আমায় অস্বস্তিতে ফেলে, তা আমি প্রকাশ করি না। সেগুলি আমি আগলে রাখি।” আগে পালি হিলে থাকতেন আদাহ। বর্তমানে জগার্স পার্ক সংলগ্ন এলাকায় মা এবং দিদিমাকে নিয়ে শিফট করেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: নারদ মামলায় শুভেন্দু অধিকারী কেন গ্রেফতার হননি? আদালতে উঠল প্রশ্ন, তুমুল চাঞ্চল্য!
৩২ বছর বয়সী অভিনেত্রীর বক্তব্য, “আমাদের সংবাদমাধ্যম খুবই সংবেদনশীল এবং বুদ্ধিমান। আমি নিশ্চিত যে, তারা এই বিষয়টাকে সম্মান করবে। আমার বাড়ি তো পাখি এবং কাঠবিড়ালিদেরও আস্তানা। আসলে আমি নিজেই আমার গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অনুমতি ওদের দিয়েছি।”
২০২০ সালের জুন মাস থেকেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল মঁ ব্লাঁ। আসলে ওই ড্যুপ্লেতেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ। এরপর প্রায় চার বছর খালি ছিল ফ্ল্যাটটি। কিছু সময় আগে মুম্বইয়ের এক রিয়েল এস্টেট ব্রোকার রফিক মার্চেন্ট জানিয়েছিলেন যে, ভাড়াটেরা ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিতে এমনকী সেখানে যেতেও ভয় পাচ্ছিলেন। ফলে কোনও কিছুই চূড়ান্ত করা যাচ্ছিল না। অথচ আদাহ-র কিন্তু কোনও সমস্যা হয়নি। বরং তিনি ওই বাসভবন কিনতে চেয়েছেন। কারণ তাঁর মতে, সেখান থেকে এক ইতিবাচকতা পেয়েছেন তিনি।
আদাহ-র কথায়, “কোনও ছবির কাজ হোক কিংবা কোনও নতুন বাড়িতে থাকার বিষয়ই হোক, আমি নিজের সমস্ত সিদ্ধান্ত নিই মন থেকেই। ফলে নিজের নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও সন্দেহও থাকে না। আমি হয়তো নতুন ঠিকানায় শিফট করেছি। কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ই আমার স্থায়ী ঠিকানা।”
প্রয়াত সুশান্তের বাসভবন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন আদার পরিবার? অভিনেত্রী জানান, “আমার পরিবারও আমারই মতো। তারা বিশ্বাস এবং আনন্দ নিয়ে জীবন কাটাতে পছন্দ করে।”