সুরভীন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি যখন নবম শ্রেণীতে ছিলাম, তখন আমার প্রথম প্রেম হয় এবং তারপরে আমার বিচ্ছেদ ঘটে।’ এরপরই আমি আমার প্রাক্তন প্রেমিকের বন্ধুর সঙ্গে ডেটিং শুরু করি। এখান থেকেই মানুষ আমাকে ট্রোল করা শুরু করে। আমার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করে। সাক্ষাৎকারে সুরভীন বলেন যে, ‘অল্প বয়সে সম্পর্কে থাকার জন্য তিনি তখন কতটা লজ্জিত ছিলেন।’ লোকেরা এটা নিয়ে অনেক কথা বলত। যখন আমার তৎকালীন প্রেমিক আমার সঙ্গে ব্রেক আপ করে, তখন আমি তার বন্ধুর সঙ্গে ডেটিং শুরু করি, তাই আমি আরও বেশি লজ্জিত হই। তারা আমাকে নানা ধরণের কুরুচিকর মন্তব্য করতে শুরু করে৷ হাজারও মানুষের শয্যাসঙ্গীনি করে
advertisement
নোংরা ভাষায় ডাকতে শুরু করে৷ একটা সময় ধীরে ধীরে বিষণ্ণতায় ভুগছিলাম৷’
অভিনেত্রী আরও জানান, ‘আমি যখন নবম শ্রেণীতে পড়তাম,সেই সময় থেকেই খুব বিষণ্ণ ছিলাম এবং মাইগ্রেনের ব্যথাতেও ভুগছিলাম৷ দীর্ঘ এক বছর ধরে বিষণ্ণতায় ভুগছিলাম৷ তখন এতটাই ছোট ছিলাম,যে সেই সময় এই আলোচনাগুলি কখনও করে উঠতে পারিনি৷’ কীভাবে তিনি এই সমস্যা কাটিয়ে উঠেছিলেন তা স্মরণ করে সুরভীন বলেন, তিনি একজন জেনারেল ফিজিশিয়ানের সাহায্য চেয়েছিলেন। “আমি আমাদের পারিবারিক জেনারেল ফিজিশিয়ানের কাছে গিয়েছিলাম এবং তিনি আমাকে মাইগ্রেনের ওষুধ দিয়েছিলেন৷ কিন্তু এভাবে কোনও সমাধান হয়নি। অভিজ্ঞতা এবং বোধগম্যতার মাধ্যমেই কেবল সমাধান হয়। আমাদের এইসব সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়েছিল এবং নিজেদেরকেই এ থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল। ‘
‘
অভিনেত্রী ভয়াবহ দিনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমার বাবা-মা এই বিষণ্ণতার কথা জানতেন না৷ সাম্প্রতিক বছরগুলিতেই তারা এই বিষয়গুলির সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন এবং এই ধরনের কথাবার্তা বলছেন।’ তিনি একটি রক্ষণশীল এবং পুরুষতান্ত্রিক পরিবারে বড় হয়েছিলেন, যেখানে নারীবাদ, যৌন শিক্ষা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে আলোচনা প্রায় অস্তিত্বহীন ছিল। তিনি আরও বলেন, একই রকম পরিবারে বেড়ে ওঠা অনেকের জন্যই তার অভিজ্ঞতা অস্বাভাবিক নয়। উল্লেখ্য, সুরভীন বর্তমানে ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস সিজন ৪’-এ তার ভূমিকার জন্য প্রশংসা পাচ্ছেন, যেখানে তিনি পঙ্কজ ত্রিপাঠী এবং শ্বেতা বসু প্রসাদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। সুরভীনের অভিনয় তাঁর সূক্ষ্মতা এবং আবেগগত গভীরতার জন্য আলাদাভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।
