অভিনেত্রী শিবা চাড্ডার কথায়, ‘আমার মনে আছে উনি হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। তারপরেই সেটে রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছিলেন। এমন ভাবে দরজায় ধাক্কা মেরেছিলেন যে, দরজার পিছনে থাকা এক বৃদ্ধ লাইটম্যান অল্প আঘাত পেয়েছিলেন।’
advertisement
যেহেতু ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ শিবার প্রথম ছবি ছিল, তাই সলমনের অমন মেজাজ দেখে রীতিমতো ভয়ই পেয়েছিলেন তিনি। একপ্রকার অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে শিবা বলেন যে, ‘আমি তো ভাবছি, বাপ রে, তারকারা এমনটাও করেন না কি!’
শিবা চাড্ডা আরও একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বলেন যে, ‘একটা দৃশ্যে তাঁর আমাকে জড়িয়ে ধরার কথা ছিল। তবে সলমন প্রত্যাখ্যান করে জানান যে, আমি জড়িয়ে ধরব না। ‘এদিকে চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে শিবাকে জড়িয়ে ধরতেই হত সলমনকে। তবে সুপারস্টার রাজি না হওয়ায় শ্যুটিং কিছু সময়ের জন্য থমকে গিয়েছিল। এর জন্য হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল স্বয়ং পরিচালক সঞ্জয়লীলা বনশালিকেও। অবশেষে চিত্রনাট্য মেনে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিনেতাকে।
এদিকে সম্প্রতি সলমন খানের ‘তেরে নাম’ ছবির সহ-অভিনেত্রী ইন্দিরা কৃষ্ণণ সুপারস্টারের আচরণ নিয়ে মুখ খুলেছেন। আসলে ‘তেরে নাম’ ছবিতে সলমনকে চড় মারার একটি দৃশ্য করার কথা ছিল ইন্দিরার। কিন্তু সুপারস্টারের মনে হয়েছিল যে, এই সময় ইন্দিরার সঙ্গে একটু দুষ্টুমি করা যেতে পারে। প্র্যাঙ্ক করে অভিনেতা ইন্দিরাকে রীতিমতো হুমকির সুরে বলেন যে, যদি তুমি আমায় থাপ্পড় মারো, তাহলে কিন্তু বিষয়টা খারাপ হতে পারে। যদিও চিত্রনাট্যের অংশ হিসেবে ইন্দিরা চড় মেরেছিলেন অভিনেতাকে।
এরপর অভিনেতার সঙ্গে সেই প্র্যাঙ্কে যোগ দেন তাঁর দেহরক্ষীও। তিনি বলেন, ‘ম্যাম এটা আপনি কী করলেন? সংবাদমাধ্যম চলে এসেছে। আপনি ভ্যানে গিয়ে বসে পড়ুন। ‘ এতে যারপরনাই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন ইন্দিরা। মজাচ্ছলে ইন্দিরাকে এ-ও বলা হয়েছিল যে, তাঁকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বয়কট করা হবে। তবে এই কথা শুনে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।