তিনি বলেন, “এই শো-এ আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে। শো-এর লক্ষ্মীদের দেখে আমি সত্যি অনুপ্রাণিত হচ্ছি। বিনোদনের সঙ্গে একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করছে এই শো। এটাই নারী শক্তির জয়। নারীশক্তির বিকাশ নিয়ে আমি নানা ধরনের কাজ করেছি। একজন মহিলার পাশে আরেকজন মহিলার দাঁড়ানোটাই কিন্তু নারী শক্তির মূল উৎস। এই শোয়ের মাধ্যমে কত মহিলা তাঁদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার সুযোগ পাচ্ছে দেখে খুবই ভাল লাগছে। শো-টা সবাই খেলতে পারবেন,কঠিন নয় একেবারেই। সুদীপ্তা পুরো জমিয়ে রেখেছে শো-টিকে।”
advertisement
সিজন ২-এর মাসিক ফিনালে হাসি-খেলায়-মজায় ভরপুর। ফিনালের বিজয়িনী পাবেন ২লাখ টাকা। সঙ্গে থাকছে লক্ষ্মীদের জীবন সংগ্রামের গল্প। সেইসব গল্প শুনবেন ঋতুপর্ণা। শুধু শুনবেন না গল্প, থাকছে ঋতুপর্ণার নাচের পারফরম্যান্স। নিজের সিনেমার জনপ্রিয় গান থেকে হিন্দি গান–সবেতেই পা মেলাবেন তিনি।
বাংলার সব মহিলারাই এই খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন অডিশনের মাধ্যমে। ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’ এখন পাঁচ রাউন্ডে খেলা হয়। প্রতি রাউন্ডেই খেলার শেষে প্রতিযোগীদের জন্য থাকে নগদ টাকার পুরস্কার। একেবারে ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়িনীর জন্য থাকে এক লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার। প্রতি পর্বে এখন থেকে তিনজনের বদলে চারজন করে মহিলা প্রতিযোগী থাকেন। কাউকেই খালি হাতে ফিরতে হয় না। নতুন এই ফরম্যাটে যুক্ত হয়েছে নতুন একটা খেলা। “টাকার খনি”, “বল ফেলতে টাকা কুলো” এমন সব মজার খেলার সঙ্গে এখন খেলা হয় ‘টাকার গদি’। গোটা শো-টি সঞ্চালনার দায়িত্বে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’ নিছক একটা নন ফিকশন শো নয়, মহিলাদের নিজেদের স্বপ্নপূরণের একটা প্ল্যাটফর্ম যেন এই শো। মহিলাদের স্বনির্ভর হবার ইচ্ছেকে আরও জোরালো করতেই এই উদ্যোগ।
মাঝে মাঝে লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভে খেলতে আসেন এক ঝাঁক তারকারা। গল্প,আড্ডায় জমে ওঠে তারকাদের নিয়ে এই পর্ব। তারকারা অবশ্য সব টাকা নিয়ে যান না। তাঁদের টাকা নিয়েই তৈরি হয়েছে “লক্ষ্মী ব্যাঙ্ক”। এবারে ‘লক্ষ্মী ব্যাঙ্ক’-এর টাকা থেকে লড়াকু মা লক্ষ্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে টাকা যাতে তাঁরা তাঁদের স্বপ্ন পূরণের দিশা খুঁজে পান।