অনেকেই হয় তো এতক্ষণে ভাবছেন- কে এই নিশা নূর? যাঁর কেরিয়ারে হাতে গোনা ছবি মাত্র ১১টা, তাঁকে মনে রাখা কঠিন কাজ বটেই, তার উপরে তিনি আবার দক্ষিণ ভারতীয় ছবির সম্পদ। কিন্তু নিশা নূরকে ভুলে যাওয়াও এতটা সহজ নয়। অপূর্ব শারীরিক বিভঙ্গে তিনি যখন নৃত্যচ্ছন্দে ধরা দিতেন, রুপোলি পর্দার মতো পুরুষের বুকও কেঁপে উঠত। ওই কটা ছবি হলে কী হবে, তার মধ্যেই ইন্ডাস্ট্রিকে কল্যাণ আগাতিয়াল, আইয়ার দ্য গ্রেট, টিক টিক টিক-এর মতো সুপারহিট ছবি দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রি। আর ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে দিয়েছে দিন আনি দিন খাই দশা, যে শরীর ছিল রুপোলি পর্দার মায়া, সেখানে বুনে দিয়েছে যৌন অসুখের বীজ।
advertisement
১৯৬২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনমে নিশার জন্ম, মৃত্যু মাত্র ৪৪ বছর বয়সে ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল চেন্নাইয়ের তাম্বরমে। জীবনের শেষবেলায় নিশাকে এক দরগার বাইরে ভিক্ষা করতে দেখা গিয়েছিল, সোজা হয়ে উঠে বসতেও পারতেন না তিনি, সারা গায়ে হেঁটে বেড়াত পিঁপড়ে, পোকামাকড়। কোনও রকমে তাঁকে যখন চিনতে পারা যায়, শুভানুধ্য়ায়ীরা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন, তবে লাভ হয়নি, ডাক্তার বলেছিলেন এইডস (AIDS) বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে।
আরও পড়ুন- বর্ধমানেও হবে বর্নময় দুর্গা কার্নিভাল, চূড়ান্ত হল দিনক্ষণ
বলা হয়, কাজের সংখ্যা কমে আসায় নিশা ইন্ডাস্ট্রির মধ্যেই গোপনে পতিতাবৃত্তির কাজ করতেন, বিশ্বাস করতেন এমন কেউ তাঁকে এই সহজ উপার্জনের পথ দেখিয়েছিলেন। বহু অভিনেতার সঙ্গেই গোপনে শারীরিক সম্পর্ক ছিল নিশার, যা তাঁকে টাকার বদলে যৌন অসুখ ধরিয়ে দেয়।
নিশাকে তো মৃত্যু মুক্তি দিল, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির এই নারীশোষণের নিশা কি আদৌ কাটবে?