মা- ছেলের সম্পর্কের গল্প বলে 'অব্যক্ত'। অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের চরিত্রে দেখা যাবে অনুভবকে। ব্যক্তিগত জীবনে অর্পিতার নিজের একটি ছেলে রয়েছে। শ্যুটিং করার সময় ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে মিল পাননি ঠিকই তবে নিজে মা হওয়ায় তাঁর এই ছবিতে অভিনয় করতে অনেক সুবিধে হয়েছে। অর্পিতার কথায়, ইমোশনালি চ্যালেঞ্জিং ছিল এই ছবি।
অর্পিতার দুটো বয়েস দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। ৩০ বছর এবং ৬০ বছর। পর্দায় বয়স্ক কারওর চরিত্রে অভিনয় করতে সচর-আচর চান না অভিনেতা- অভিনেত্রীরা। কিন্তু এই নিয়ে একেবারেই ভাবেন না অর্পিতা। চিত্রনাট্য ভালো হলে যে কোনও বয়েসের চরিত্র করতেই রাজি অর্পিতা। বয়েস নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যথা নেই নায়িকার। পরিচলক অর্জুন চিত্রনাট্য শোনাতেই এই কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন অর্পিতা।
advertisement
নতুন পরিচলক। পর্দায় নিজেকে সুন্দর না দেখানো, অর্পিতার কাছে কোনও কিছুই বড় বিষয় নয়। ভালো ছবির অংশ হতে চান অর্পিতা। আদিল হুসেনের সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুশি নায়িকা। ছবিটি দর্শকের মনে দাগ কাটবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
ছবিতে অর্পিতার চরিত্রের নাম স্বাতী। চরিত্রটি কমপ্লেক্স। নায়িকার কথায়, তিনি খুব ভালো অবসার্ভার। জীবন থেকেই শেখেন তিনি। আলাদা কোনও ওয়ার্কশপ নয়। জীবনের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা থেকেই চরিত্র নির্মাণ করেন অর্পিতা। এই ভাবেই এত দিন অভিনয় করে এসেছেন তিনি।
কেরিয়ারের গোড়ার দিকেই অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে কাজ। তাঁর ছেলের চরিত্র। তবে অনুভব এর যে খুব নার্ভাস লেগেছে এমনটা নয়। প্রথম দিনেই গোলে গিয়েছিল বরফ। স্টার সুলভ কোনো আচরণই করেননি অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।