ঐন্দ্রিলা শর্মার নামটা অজানা খুব কম মানুষের কাছে৷ কারও কাছে লড়াইয়ের সমার্থক ঐন্দ্রিলা, কারও কাছে ঐন্দ্রিলার অর্থ প্রাণশক্তি৷ অল্পে হেরে যাওয়া, হাঁফিয়ে ওঠা, আশা ছেড়ে দেওয়া মানুষগুলোকে নিজের অজান্তেই বাঁচতে শিখিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা৷ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়৷’
বোন বলতে অজ্ঞান ছিলেন দিদি ঐশ্বর্য। মিতুল আর মিষ্টি। বহরমপুর মাতিয়ে রাখত এই দুই খুদে। হাতে হাত দু’জনের। আপাত ভাবে হাত দু’টি একসঙ্গে না থাকলেও ছাড়াছাড়ি হয়নি কোনও দিনও। ঐন্দ্রিলা শর্মা চলে যাওয়ার পর সে কথাই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসক দিদি ঐশ্বর্য শর্মা। এবার নতুন এক খবর শেয়ার করলেন ঐশ্বর্য। নতুন কাজের খবরও জানালেন।
advertisement
না কোনও সিনেমা বা সিরিয়াল নয়। তিনি একটি মিউজিক ভিডিও করতে চলেছেন। হ্যাশট্য়াগে তিনি লিখেছেন বোন ঐন্দ্রিলার নাম। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, ছোট বোনকে কখনও ভোলেননি তিনি।
প্রার্থনা করেছিল সবাই- এ লড়াই থামুক জীবনের জয়ে৷ ঐন্দ্রিলা হয়ে উঠেছিল কত অচেনা অজানা মানুষের মেয়ে৷ তার সঙ্গে একই আকাশের নীচে বাঁচতে চেয়েছিল কত হেরে যাওয়া মানুষ৷ ঐন্দ্রিলা নিজেও বিশ্বাস করতেন, এত আনন্দ আয়োজন সবই বৃথা আমায় ছাড়া৷ কিন্তু পরপর দুবার ক্যানসার, ব্রেন স্ট্রোক, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হৃদরোগের কাছে হেরেই গেল সব প্রার্থনা, নিরলস চিকিৎসা৷
ঐশ্বর্যর ভাই নেই। তাঁর সবকিছুই ছিল এই বোন ঐন্দ্রিলা। আজ ২৪ বছরের স্মৃতি আঁকড়ে বসে রয়েছেন দিদি। আরও হয়তো কত কত বছর একসঙ্গে কাটানো ছিল। আরও কত লড়াই লড়তে হত। কিন্তু আচমকাই মাঝপথে সব থেমে গেল ছোট বোন। মিষ্টি ফেলে গেল মিতুলকে। কিন্তু দিদির ফেসবুকের দেওয়াল জুড়ে কেবলই বোনের ছবি, ভিডিও। কত কত সুখস্মৃতির কথা ফুটে উঠছে রোজ রোজ। আবারও বোনের স্মৃতিই আঁকড়াচ্ছেন ঐশ্বর্য।