ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় যখন চারিদিকে শোরগোল, তখনও যাদবপুরের ক্যাম্পাসে নেশা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কে ঘি ঢালেন এক ছাত্রী। এবার সামাজিক মাধ্য়মে খোঁচা অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্য়ায়েরও।
অভিনেতা ফেসবুকে লেখেন, “জ্বর আর অ্যান্টিবায়োটিকের ঘোরে প্রথমে ভাবলাম উরফি জাভেদ, তারপরে বুঝলাম আমার চোখের ভুল, আসলে ওটা যাদবপুর ! মাথা কাজ করছে না। আমার ভুল !” তাঁর মন্তব্য়ে সায় দিয়েছেন কেউ, কেউ বা প্রশ্নও করেছেন। এক নেটিজেন জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘তুমি ও তো যাদবপুরের ছাত্র ছিলে এই যাদব পুর তুমি চিনতে পারো।’ গাঁটছড়ার রাহুলের উত্তর, ‘আমি পড়াশুনোয় কোনোকালেই ভাল ছিলাম না । যাদবপুর অনেকদূর ।’
advertisement
যাদবপুর নিয়েই যখন উত্তাল গোটা বাংলা তখনই এক পড়ুয়ার বক্তব্য ভাইরাল হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের নিকটবর্তী পুকুরে মদের বোতল উদ্ধার হয়েছিল এই ঘটনার মাঝেই। হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় সাড়ে সতেরো বছরের এক পড়ুয়ার। সেই হস্টেলের কম্পাউন্ডের ভিতরে থাকা পুকুরের যততত্র-সর্বত্র এখনও পড়ে রয়েছে মদের বোতল। তারই মধ্যে এক ছাত্রী দাবি করেন, ‘আমরা অনেককেই বলতে শুনেছি, ক্যাম্পাসে এতো বিয়ারের বোতল কেন? যাঁরা এসব বলছেন, আমি নিশ্চিত তাঁরা নিজেরাও মদ্যপান করেন। তাঁরা নিজেদের ঘরে করেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি বলে মনে করি। তাই আমাদের অধিকার রয়েছে যে আমরা চাইলে ক্যাম্পাসে মদ্যপান বা ধূমপান করতে পারি।’ এই মন্তব্য নিমেষে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিন্দার ঝড় ওঠে শিক্ষামহলে।
গাঁটছড়ায় অনিন্দ্যর সঙ্গে অভিনয় করেছেন শোলাঙ্কি রায়। যাদবপুরের এই প্রাক্তনীও ‘র্যাগিং’ প্রথা নিয়ে সরব। তবে মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য গোটা বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঠগড়ায় তুলতে তিনি নারাজ। কারণ যাদবপুরের ক্যাম্পাসই এক সময়ে তাঁকে মুক্তচিন্তা শিখিয়েছে। দেখিয়েছে স্বকীয়তা অর্জনের পথ। শোলাঙ্কির কথায়, “বারবার যাদবপুরের কালচার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু এটা ঠিক নয়। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তখন একটা অ্যান্টি-র্যাগিং সেল ছিল। তাই কখনও এ ধরনের অভিজ্ঞতা হয়নি। কিন্তু স্বপ্নদীপের মৃত্যুর নেপথ্যে যদি র্যাগিংয়ের ভূমিকা থাকে, তা হলে দোষীদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। মানসিক নির্যাতন কোন পর্যায় গেলে, তার পরিণাম এমন হয়!” অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার জানান, ‘র্যাগিং’ তো দূর অস্ত, বরং সিনিয়র এবং সহপাঠীদের থেকে অবাধ সহযোগিতা পেয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন পায়েল সরকার, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেন প্রমুখেরাও।