TRENDING:

‘তু লাল পাহাড়ির দেশে যা’ পেরিয়ে গেল পঞ্চাশ বছর, সহজিয়া উৎসবে উদযাপন

Last Updated:

উৎসব আলো করে ছিলেন প্রবাদপ্রতিম লোকশিল্পী শ্রী মনসুর ফকির, দেবদাস বাউল, কার্তিক দাস বাউল, শুভেন্দু মাইতি ও স্বপন বসু।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ১৯৭২ সালে কবি অরুণ চক্রবর্তীর লেখা ‘তু লাল পাহাড়ির দেশে যা’ কবিতাটি প্রচলিত ঝুমুর গানের সুরে, বাঁকুড়ার সুভাষ চক্রবর্তীর কন্ঠে, ইনরেকো কোম্পানি থেকে ১৯৭৯-এ প্রথমবার রেকর্ড হয়ে বেরোয়। শ্রীরামপুর রেল স্টেশনের পাশে একাকী একটি মহুয়া গাছ দেখে কবির মনে হয় তার অবস্থানগত অসংগতির কথা, যা থেকে এই অমর সৃষ্টি। মিথ হয়ে যাওয়া গানটির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সহজিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সম্প্রতি রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘দশম সহজিয়া উৎসব’।
advertisement

উৎসব আলো করে ছিলেন প্রবাদপ্রতিম লোকশিল্পী শ্রী মনসুর ফকির, দেবদাস বাউল, কার্তিক দাস বাউল, শুভেন্দু মাইতি ও স্বপন বসু। উপস্থিত ছিলেন শ্রীকান্ত আচার্য্য, মনোময়, জয়তী, বাংলা ব্যান্ড ভূমির সৌমিত্র, চন্দ্রবিন্দুর অনিন্দ্য–উপল, ক্যাকটাসের সিধু-পটা, লক্ষ্মীছাড়া-র গাবু, রাজকুমার, রুদ্রনীল, শোভনসুন্দর, মৌনীতা, বাদশা মৈত্র ও শাওন সেন। এ ছাড়াও জি বাংলা সারেগামাপা-র চ্যাম্পিয়ন অর্কদীপ, সৌম্য, পৌষালী এবং সদ্যোজাত লোকগানের দল ‘বাউলা ও খেপীরা’ অনুষ্ঠানে অন্য রং নিয়ে আসে।

advertisement

আরও পড়ুন: 'আমি জানতাম দিদি আমার পাশে দাঁড়াবে', মমতার মন্তব্যে যেন প্রাণ ফিরে পেলেন 'কেষ্ট'

আরও পড়ুন: 'ইডি-CBI-এর কাছে সব তথ্য পাঠাচ্ছেন কুণাল ঘোষ', বিস্ফোরক দাবি সৌমিত্র খাঁ'র! তুমুল চাঞ্চল্য

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
প্রয়োজন পড়বে না পুকুর বা জলাশয়ের দুরন্ত পদ্ধতিতেই মাছের ব্যবসা করলেই আয় হবে লক্ষাধিক
আরও দেখুন

বর্ষীয়ান নাগরিক লোকশিল্পী শুভেন্দু মাইতি গানের শেষে বলেন এটাই তার শেষ মঞ্চানুষ্ঠান তখন যেমন পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহ আবেগে ভাসে, তেমনি আবার যখন অনিন্দ্য তার নিজের সিনেমার গান 'ইনি বিনি টাপা টিনি' গেয়ে ওঠেন, তখন সমস্ত প্রেক্ষাগৃহ নেচে ওঠে। সৌম্যর 'আমি অপার হয়ে', পৌষালীর 'মুর্শিদ ধন হে', জয়তী চক্রবর্তীর 'খাঁচার ভিতর অচিন’, অর্কদীপের বিহু গান এবং শ্রীকান্ত ও সৌমিত্রর যৌথ পরিবেশন 'গ্রাম ছাড়া ওই’ দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। উৎসব অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায় যখন সহজিয়া লোকগানের দল কবি অরুণ চক্রবর্তীর আরেকটি জনপ্রিয় গান 'মন দে যৌবন দে' পরিবেশন করে এবং স্বয়ং কবি মঞ্চে এসে দর্শকদের আন্দোলিত করে তোলেন। জি বাংলা সারেগামাপা-র লোকসঙ্গীতের গ্রুমার-মেন্টর এবং সহজিয়া ফাউন্ডেশনের কর্ণধার দেব চৌধুরী বলেন, 'অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সহজিয়া আজ এই জায়গায় এসেছে। অতিমারীর প্রকোপ কাটিয়ে এই উৎসবের জন্য বহু মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন, আজ কানায় কানায় পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহই সে কথা জানান দিচ্ছে।’’

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
‘তু লাল পাহাড়ির দেশে যা’ পেরিয়ে গেল পঞ্চাশ বছর, সহজিয়া উৎসবে উদযাপন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল