এরপরে আগামী ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে থাকা ব্যালট বক্সে তাঁদের মতামত প্রদান করতে পারবে এলাকাবাসী। প্রসঙ্গত, এই ভোটদান পর্বের পিছনে রয়েছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক ঘটনা। গত ১৯ মার্চ কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দমদমের রবীন্দ্র ভবনে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন, এলাকাবাসীর মতামত ছাড়া তিনি দলে যোগদান করতে পারবেন না। সেই মতামত গ্রহণ করতেই এই ভোটের মরসুমে ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে ওয়ার্ডে। যারই অংশ হিসেবে ব্যালট পেপার বিলি পর্ব শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড কলকাতায়! দুটি রেল স্টেশন এতই কাছে, পৌঁছতে লাগে মাত্র ১ সেকেন্ড! বলুন তো কোন দুটি স্টেশন
ব্যালট পেপারে কাউন্সিলরের কী করা উচিৎ এবং কেন তা যুক্তি সহকারে বর্ণনা করার জন্য ব্যালট পেপারে জায়গা রাখা হয়। যেখানে কাউন্সিলরের তৃণমূল, না বিজেপি না সিপিআইএম করা উচিৎ নাকি নির্দলে থেকে যাওয়া উচিৎ তা নির্ণয় করতে অনুরোধ করা হয়। এরপরে তা ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে থাকা ব্যালট বক্সে সেই মন্তব্য সম্বলিত ব্যালট পেপার ফেলার জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ করে মাইকিং করা হচ্ছে। আগামী ১০ এপ্রিল সেই মতামত সম্বলিত ব্যালট বাক্সগুলি নির্বাচন কমিটির সামনে খুলে তা জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন: পরমাণু বোমার আঁতুরঘরে কাজ, বিরল কৃতিত্বের অধিকারী বাঙালি এই মহিলা! শুনে চমকে যাবেন
সেই জনমতের উপর ভিত্তি করে কাউন্সিলর তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এক কথায় লোকসভা ভোটের আগেই এলাকায় ভোট গ্রহণের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মতামত নিয়ে ভোট যুদ্ধে অবতরণ করতে চলেছে কাউন্সিলর। তাঁর কথায়, ২০১৫ সাল থেকে তিনি যখন কাউন্সিলর হন, তাঁর কাজ দেখে এলাকার বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে সাংসদ সৌগত রায় তাকে পুরপ্রধানের দাবিদার করে তোলেন। সেই কারণে এক শ্রেণীর কুচক্রী দলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কান ভাঙিয়ে তাঁর টিকিট আটকে দেয়। এরপরে ২০২২ সালে তিনি এলাকাবাসীর মতামত নিয়ে নির্দলে দাঁড়ান এবং ৯৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। দুই বছর বাদে তাকে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানোয় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু এলাকাবাসীর মতামত ছাড়া তিনি কিছু করতে পারবেন না। তাই এই ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত।
