চিনে কলেজে ভর্তি হওয়ার পরীক্ষাকে বলা হয় গাওকাও। গুণমানের দিক থেকে আমাদের দেশের নিট বা জয়েন্ট এন্ট্রান্সের সমমানের বলেই ধরা হয় গাওকাও-কে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই চিনের পড়ুয়ারা হাইস্কুলের পরে কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।
এই পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য গত চার দশক ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ধনকুবের লিয়াং শি। প্রথম বার ১৯৮৩ সালে এই পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। এর পর এক দশক ধরে ১৯৯২ পর্যন্ত এই প্রবেশিকায় বসেছেন তিনি। তার পর বাধ্য হয়ে কয়েক বছরের বিরতি পড়েছে। কারণ সে সময়ের নিয়ম অনুযায়ী এই পরীক্ষা দিতে পারতেন ২৫ বছরের কম বয়সি অবিবাহিত বা অবিবাহিতারাই। এর পর ২০১০ সাল পর্যন্ত আরও ১৬ বার পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। এমনকি বাদ পড়েনি ঘোর অতিমারি পর্বও। সে সময়েও গাওকাও প্রবেশিকা দিয়েছেন ধনকুবের লিয়াং।
advertisement
আরও পড়ুন : ৩০ থেকে একলাফে ১০০! দেশ জুড়ে রকেটের গতিতে দাম বাড়ছে টমেটোর, দাম বৃদ্ধির কারণ, কমবে কবে জানুন
প্রায় শূন্য থেকে শুরু করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন লিয়াং শি। কারখানার সামান্য কর্মী থেকে তিনি ইমারতি পণ্যের ধনী কারবারি হয়েছেন। কিন্তু একটা স্বপ্ন স্পর্শ করা অধরাই থেকে গেল তাঁর কাছে। সেটা হল গাওকাও প্রবেশিকায় দারুণভাবে সফল হয়ে দেশের প্রথম সারির সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া।
অধরা স্বপ্ন পূর্ণ করার জন্য প্রায় সন্ন্যাসজীবন কাটান লিয়াং শি। সারা দিন ডুবে থাকেন বইপত্রে। দিনে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত চলে পড়াশোনা। এ বছর ১৩ মিলিয়ন হাইস্কুল উত্তীর্ণের সঙ্গে লিয়াং বসেছিলেন গাওকাও পরীক্ষায়। কিন্তু সাফল্য এসে পৌঁছল না তাঁর কাছে।
তাতেও দমবার পাত্র নন তিনি। জানিয়েছেন এর পরও চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। জটায়ুর আটাশ নম্বর উপন্যাসের মতো তিনিও আটাশতম বার গাওকাও পরীক্ষায় বসবেন। সাফল্য না এলে তার পরেও।