কিন্তু সাইকোলজিস্টের ক্ষেত্রে মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার কোনও দরকার নেই। তাই সায়েন্সে যাঁদের অনীহা রয়েছে, তাঁরা সাইকোলজিস্ট হিসেবে পেশাগত পরিচয় তৈরির ক্ষেত্রে আশ্বস্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে সাইকোলজিস্ট, যাঁকে বাংলায় মনোবিজ্ঞানীও বলা হয়ে থাকে, তিনি শুধুই কাজ করেন রোগীর আচরণগত দিকটি নিয়ে। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বৈঠকে তিনি রোগীর সঙ্গে তাঁর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন, কেবল সৌহার্দ্যমূলক কথোপকথনের মধ্যে দিয়েই সারিয়ে তোলেন রোগীকে। ইংরেজিতে যে পদ্ধতিকে কাউন্সেলিং (Counselling) বলা হয়। সাইকোলজিস্টের কাজ শুধু কাউন্সেলিং নিয়েই, তিনি ওষুধ দেওয়ার অধিকারী নন।
advertisement
সাইকোলজিস্ট হতে গেলে কী কী কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করা দরকার?
সাইকোলজিস্টের ক্ষেত্রে সাইকোলজির বিশদ অধ্যয়ন জরুরি। তাই নিচে উল্লেখ করা কোর্সগুলো দ্বাদশ শ্রেণী পাস করার পরে করা আবশ্যক-
১. সাইকোলজিতে বিএ অনার্স (BA Honors)
২. সাইকোলজিতে এমএ/এমএসসি (MA/MSc)
৩. সাইকোলজিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (PG Diploma)
কোর্সে ভর্তি হওয়ার শর্ত:
১. দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেতেই হবে।
২. দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যসূচিতে সাইকোলজি থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়।
৩. পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্তরে সাইকোলজি নিয়ে কোর্স করার ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েশনে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকা জরুরি।
সাইকোলজির কোর্সে কী কী পড়তে হয়:
বিহেভারাল অ্যান্ড মেন্টাল সায়েন্স, সোশ্যাল প্রবলেমস নিয়ে জানতে হয়। সেই সঙ্গে মনের নানা স্তর, জনৈক ব্যক্তির আচরণের নেপথ্যে কারণ সনাক্ত করণের পদ্ধতি এই সব নিয়েও পড়াশোনা করতে হয়। সোশ্যাল টেনশন কী ভাবে তৈরি হয়, অপরাধীর মানসিকতা কেমন হয়, কর্মক্ষেত্রে কেন মানসিক সমস্যা তৈরি হয় এই সব কিছুও এই সব কোর্সে পড়ানো হয়ে থাকে।
পেশাগত ক্ষেত্র:
বর্তমান সময়ে অনেকেই মানসিক সমস্যার শিকার। করোনাকালে যা আরও বেড়েছে। ফলে সমাজে সাইকোলজিস্টের প্রয়োজন বাড়ছে বই কমছে না। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়, রিহ্যাব সেন্টার, হাসপাতাল, কর্পোরেট অফিসের মতো নানা ক্ষেত্রে বেশ ভালো বেতনের চাকরি পাওয়া যায়। পাশাপাশি রয়েছে নিজস্ব প্র্যাকটিসের সুযোগও।