এই আরওবিগুলি কেবল লেভেল ক্রসিঙ গুলিতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিই দূর করে না অপরদিকে যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে, ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা উন্নত করে এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য বাধাহীন চলাচলের সুযোগ প্রদান করে। পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের গতি যত এগিয়ে চলেছে, ততই এই প্রকল্প সমুহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থার রূপান্তরণে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
advertisement
এই অগ্রগতির একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হ’ল অসমের ডিব্রুগড়ে সম্প্রতি নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া মানকাটা রোড ওভার ব্রিজ (আরওবি)। থানা চারিয়ালী থেকে চৌকিডিঙ্গি সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত জংশনে অবস্থিত৷ এই নতুন আরওবি শহুরের ক্রমবর্ধমান যাতায়ত ব্যবস্থাকে সামঞ্জস্য করতে এবং ভারতীয় রেলওয়ের বৈদ্যুতিকরন উদ্যোগকে সহজতর করার জন্য ১৯৬৫ সালে নির্মিত একটি পুরুনো কাঠামোর পরিবর্তে নির্মাণ করা হয়েছে।
৬.৫৫ মিটার উল্লম্ব ক্লীয়ারেন্সের সাথে ডিজাইন করা এই সেতুটির মাধ্যমে বিদ্যুতায়িত ট্রেনসমুহের নিরাপদ যাতায়ত নিশ্চিত করে এবং উপরে যানবাহনের সুগম চলাচল সক্ষম করেতুলে। এই আরওবি পাঁচটি ৩০ মিটার কম্পোজিট গার্ডার সহ ৪৫০ মিটার বিস্তৃত এবং উভয় পাশে ১৫০ মিটার অ্যাপ্রোচ রোড, পথচারীদের সুরক্ষার জন্য একটি ৭.৫ মিটার প্রশস্ত দ্বৈত-লেন ক্যারেজওয়ে এবং উভয় পাশে ১.৫ মিটার ফুটপাথ দ্বারা পরিপূরক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া ও শিয়ালদহ বিভাগের পরিকাঠামো নিয়ে কি কি আবেদন জানালেন সাংসদরা?
ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের দ্বারা রূপায়িত ৬০.১৩ কোটি টাকার ব্যয়সাপেক্ষ প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছে এবং ৩২ মিটার গভীরতা পর্যন্ত ১.২ মিটার ব্যাসের পাইল নির্মাণ করা হয়েছে। উঁচু প্যারাপেট দেয়াল এবং ডেডিকেটেড ষ্ট্রীট লাইটিঙের মতো উন্নত বৈশিষ্ট্যসমূহের সাথে, সেতুটি সমস্ত মরসুমে সুরক্ষা এবং কার্যকরি সুবিধার উপলব্ধ করবে।
মানকাটা আরওবি একটি উন্নীতকৃত অবকাঠামোর চেয়ে আধুনিক আরওবি। এটি ডিব্রুগড় টাউন স্টেশনে বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহক এবং আধুনিক নগর পরিকল্পনার চিন্তাচর্চার প্রতীক। যেহেতু উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে মজবুতএবং দক্ষ আরওবি নির্মাণের দ্বারা পুরুনো লেভেল ক্রসিংগুলি প্রতিস্থাপন করে চলেছে, এটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্যে নিরাপদ, দ্রুত এবং আরও অধিক স্থায়ী ভবিষ্যতের জন্য সক্রিয়ভাবে ভিত্তি স্থাপন করে চলেছে।