পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর প্রয়োজন ছিল এ পজিটিভ রক্তের। অথচ দেওয়া হয় এবি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত! যার জেরে অস্ত্রোপচারের পর থেকেই বৈশাখির অবস্থা সঙ্কটজনক। চরম গাফিলতির অভিযোগ সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতাল কলম্বিয়া এশিয়ার বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, ৫ জুন পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন বৈশাখি ৷ ইউএসজি রিপোর্টে এক্টোপিক গ্রেগনেন্সি ধরা পড়ে তাঁর ৷ রাতেই জয়িতা রায় মিত্রর তত্ত্বাবধানে বৈশাখির অস্ত্রোপচার হয় ৷ অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে অন্য গ্রুপের রক্ত দেওয়া হয় ৷ ৬ তারিখ সকাল থেকেই বৈশাখির অবস্থার অবনতি হতে থাকে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তক্ষরণ শুরু হয় ৷ সারা দেহ হলুদ হয়ে যায় ৷ কিডনি ও ফুসফুসে সমস্যা দেখা দেয় ৷
advertisement
আরও পড়ুন: বাঘাযতীনে কোচিং সেন্টারে ছাত্রীকে যৌন নিগ্রের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
পরিবারের অভিযোগ, সেইসময় বারবার অনুরোধ করলেও কোনও চিকিৎসকই রোগীকে দেখেননি। জয়িতা রায় মিত্রও ফোন কেটে দেন বলে অভিযোগ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়িতা রায় মিত্র। অবস্থা সঙ্কটজনক থাকায় ৭ জুন থেকে ভেন্টিলেশনে চিকিৎসা চলছে বৈশাখির। আর এক্ষেত্রে চিকিৎসার বিল নিয়েও হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: পোস্তায় চলন্ত ট্যাক্সি থেকে ছিনতাই সোনার হার, ৪০ হাজার টাকা
হাসপাতালে ৫ লক্ষ টাকা বিল হয়েছে ৷ তারমধ্যে বৈশাখির পরিবার আড়াই লক্ষ টাকা মিটিয়ে দিয়েছে ৷ বাকি টাকা মেটানোর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে ৷ তবে কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতিতে বলেছে রোগীকে রক্ত দেওয়ার সময় জটিলতা থাকতে পারে। তবে তাঁর স্বাস্থ্যের দ্রুত উন্নতি হবে। পরিবারের পাশে আছে হাসপাতাল ৷
এদিকে, চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ জানিয়েছে রোগীর পরিবার। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ও স্বাস্থ্য কমিশনেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।