বাওরার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে । কমল গৌতমের বিরুদ্ধে ১৪৪ জারা লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলা দায়ের করা হয়েছে । এছাড়াও এই নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের হিংসায় অংশ নেওয়ার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
আজ এই মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ।
এবছর ২ এপ্রিল দলিত আন্দোলন তথা 'ভারত বন্ধের' সময় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে মুজাফফরনগরের মান্ডি অঞ্চলে । এই ঘটনার ফলে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয় । হিংসা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছে পুলিশ ।
advertisement
গত ২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট তফসিল জাতি ও উপজাতিদের বিরুদ্ধে অত্যাচার বন্ধে ১৯৮৯ সালে প্রচলিত আইনটি সংশোধন করে । আগে সেই আইন অনুযায়ী দলিতদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ এলেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হত ।
কিন্তু ২০ মার্চ সেই আইনের ধারা পরিবর্তন করে সুপ্রিম কোর্ট বলে , অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। নিয়োগ কর্তার অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মীকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না। সাধারণ নাগরিকদের গ্রেপ্তারের আগেও শীর্ষ পুলিশ কর্তার অনুমতি প্রয়োজন। পুলিশি তদন্তের পরেই সেই অনুমতি দেওয়া যাবে। আইনের অপব্যবহার আটকাতেই এই রায় দেয় শীর্ষ আদালত । এই রায়ের বিরুদ্ধেই দেশজুড়ে আন্দোলনে নামেন দলিত ও তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত যা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: মনোযোগ আকর্ষণের জন্য আত্মহত্যা করা একটি অপরাধ, জানাল মাদ্রাস হাই কোর্ট
