সাংবাদিকরা এদিন রাজ্য বিজেপি নেতাকে গতকালের পুলিশ পেটানোর ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘যা হয়েছে ঠিক হয়েছে ৷ আমাদের ৪০০ বাস আটকে রাখে পুলিশ ৷ তার জন্যই কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে পারেনি ৷ পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডার হয়ে কাজ করেছে ৷ বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ ৷ উল্টে পুলিশই কর্মীদের প্রলোভন দিয়েছে ৷ আমাদের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে ৷ পুলিশ নিজেকে না শোধরালে এমনটাই হবে ৷ এধরনের ঘটনায় আমার কোনও দায় নেই ৷ পুলিশের মনোভাব বদলাতে হবে ৷’
advertisement
এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশকে তৃণমূলের ক্যাডার বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ ৷ পুলিশ পেটানোর হুমকি এর আগেও শোনা গিয়েছে বিজেপি সভাপতির মুখে ৷
সোমবার খড়গপুরে সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাতে প্রবল নিগৃহীত হন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ৷ বাদ যায়নি সিভিক ভলান্টিয়াররাও। ঘটনা ঘিরে সোমবার সকালে হুলুস্থূল পড়ে যায় খড়গপুর চৌরঙ্গী মোড়ে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাস্থলের নিরাপত্তার স্বার্থে এদিন বিভিন্ন জায়গায় যান নিয়ন্ত্রণ ও ব্যারিকেড করে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এর ফলেই সভাস্থলে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা। এরপরই পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর চড়াও হন ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। চলতে থাকে কিল, চড়, ঘুসি, লাথি। এমনকি, চুলের মুঠি ধরে পুলিশকর্মীদের লাঠিপেটাও করা হয়। উল্টে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি।