পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম হর্ষ বালানি, বয়স ২৪-২৫, গুজরাতের বাসিন্দা। ৮ নভেম্বর হোটেলে ওঠেন জামশেদপুরের কলেজের পড়ুয়া হর্ষ। হোটেলে থাকাকালীন সারাদিনে একবারই ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকে ঘরের দরজা বন্ধই ছিল।
বাথরুমও ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল। ঘরের ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খোলা হয়। বাথরুমের দরজা খোলেন হোটেল কর্মীরাই। দরজা খুলতেই মেলে যুবকের রক্তাক্ত দেহ।
advertisement
জানা গিয়েছে, অনলাইনে হোটেল বুক করেছিলেন হর্ষ বালানি। ভাড়া নিয়েছিলেন ডিলাক্স রুম। দেহের পাশে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেন ফরেনসিক আধিকারিকরা।
খুন না আত্মহত্যা? খতিয়ে দেখছে পুলিশ! যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনাও হতে পারে কারণ যুবকের শরীরে অনেকগুলো গাঢ় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসক ও ফরেনসিক টিম-এর মতে, যুবক নিজেই নিজের উপর আঘাত হেনেছিল।
কিন্তু যদি আত্মহত্যাও হয়ে থাকে, তাহলে যুবককে কি কেউ আত্মহত্যা করতে প্ররচনা করেছিল? উঠে আসছে আরও নানা প্রশ্ন--বন্ধুদের সঙ্গে কি দেখা করতে শহরে এসেছিলেন হর্ষ ? কলকাতায় কাদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল? যুবকের মৃত্যুর পিছনে কি প্রণয়ঘটিত কোনও কারণ রয়েছে ?
জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ, হোটেলের গেস্ট লিস্ট। তবে হর্ষ বালানির পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে!
আরও পড়ুন-ট্রেনের নীচে পাইপ মেরামতি করছেন গার্ড, ট্রেন ছেড়ে দিলেন চালক!