আরও পড়ুন: পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির জের, আজ থেকে প্রতিস্তরে এক টাকা করে বাড়ল বাস ভাড়া
বালুরঘাটের পতিরাম নীচা বন্দর এলাকার বাসিন্দা দিবাকর ঘোষের গাড়ির বিভিন্ন অংশ রক্তমাখা। গাড়ির ভিতর চাবি রয়েছে, সাউন্ড সিস্টেমে গানও বাজছে। অথচ সেখানে কেউ নেই। বাড়িও তালাবন্ধ। এই দেখেই সন্দেহ দানা বাঁধে প্রতিবেশীদের মনে। খবর দেওয়া হয় থানায়। এরইমধ্যে গ্রামবাসীরা জানতে পারেন দিবাকরের স্ত্রী অনন্যা ঘোষ বালুরঘাট হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে সেখানে গেলে জানা যায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর-
advertisement
-এক মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন
-তাঁর মুখ থেঁতলানো, সারা গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল
ঘটনায় প্রথমে কোনও কূল কিনারা মিলছিল না। বিকেলের দিকে মহিলার বাবা বালুরঘাটে পৌঁছে মেয়ের খোঁজ করতে থাকেন। জানা যায়-
-যাদবপুরে বাপের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন তিনি
-শ্বশুরবাড়ি ফেরার জন্য শনিবার রাতে ট্রেন ধরেন তিনি
-সঙ্গে তাঁর বাবা ও বাপের বাড়ির পরিচারিকাও ছিলেন
-ব্যক্তিগত কাজ থাকায় মালদহে নেমে যান মহিলার বাবা
-এরপর থেকে মেয়ের আর কোনও খোঁজ মিলছিল না
বালুরঘাট পৌঁছে মেয়ে ও পরিচারিকার খোঁজ করতে থাকেন অমলেন্দু দত্ত। বালুরঘাট স্টেশন থেকে পরিচারিকাকে উদ্ধার করা হয়। তখনই উঠে আসে বেশ কিছু তথ্য। পরিচারিকা জানান,
-মল্লিকপুর স্টেশনে দিবাকর স্ত্রী ও মেয়েকে ট্রেন থেকে নামিয়ে নেন
-পরিচারিকাকে বালুরঘাট স্টেশনে চলে যেতে বলেন তিনি
গঙ্গারামপুরের আবগারি আধিকারিক দিবাকর ঘোষের সঙ্গে মহিলার আড়াই বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। মহিলার বাবার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর মেয়ের ওপর অত্যাচার চালাত।
আরও পড়ুন: আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
দিবাকরের এর আগেও বিয়ে হয়েছিল। অভিযোগ, তখনও স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।