TRENDING:

রাজনৈতিক অস্থিরতায় যখন ত্রাতা ফুটবল, ক্রোট-বেলজিয়াম এবং...

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মস্কো: ২০১৮-র ফুটবল বিশ্বকাপে মনে রাখার মতো ঘটনাগুলির যদি একটি কোলাজ করা যায়, তা হলে বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়া দেশ দুটিকে বাদ রাখাটা অপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে ৷ ইতিহাস ঘাঁটলে, রাজনৈতিক অস্থিরতায় কোথাও একটা বেলজিয়াম ও ক্রোটদের মিল আছে ৷ আফটার অল, ফুটবল ৷
advertisement

আপনি বলতেই পারেন, দুটি দেশের অবস্থান থেকে ইতিহাস, কোথাও মিল নেই ৷ তা হলে কেন আলোচনা ? দেখে নেওয়া যাক বেলজিয়ামের ফুটবল উত্থানের ইতিহাসটা ৷

মোটামুটি অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি ফুটবল জনপ্রিয় হতে শুরু করে বেলজিয়ামে ৷ বস্তুত বেলজিয়ামই প্রথম ইউরোপীয় দেশ, যারা অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল শুরু করে ৷

এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে মোটামুটি বেলজিয়ামের উত্থান বলাই যায় ৷ ১৯০৫ থেকে বছরে দুটি করে ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে খেলত বেলজিয়াম ৷ যা পরে বেলজিয়াম-ডাচ ট্রফি নাম হয় ৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন বেলজিয়াম ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কয়েকটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলে ৷ যে গুলি ফিফা-র স্বীকৃতি পায়নি ৷ ১৯১৫ থেকে ১৯১৯ পর্যন্ত বেলজিয়াম কোনও অফিসিয়াল ম্যাচ খেলেনি ৷ বিশ্বযুদ্ধে বেলজিয়াম দলের ৩ জন প্লেয়ার নিহত হন ৷

advertisement

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে একাধিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বাতিল করা হয়৷ যদিও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ডার্বি এর মধ্যেও চলতে থাকে ৷ আনঅফিসিয়ালি ৷

১৯৭৮ সাল থেকে ফুটবল বিশ্বে বেলজিয়ামের স্বর্ণযুগ শুরু হয় ৷ গাই থাইসের কোচিংয়ে একশোরও বেশি অফিসিয়াল ম্যাচ খেলে বেলজিয়াম ৷ ১৯৮২ থেকে ২০০২ -- প্রত্যেকটি বিশ্বকাপে বেলজিয়াম কোয়ালিফাই করে৷ যার নির্যাস, একটা অস্থির সময় থেকে ঘুরে দাঁড়ানো একটা দল ৷

advertisement

আশির দশক ৷ অত্যন্ত অস্থির সময় ৷ যুগোস্লোভিয়ার ভাঙন ৷ ক্রোটরাও স্বাধীনতা চাইছে ৷ এই সময়টায় ক্রোটরা শান্তির জন্য আঁকড়ে ধরে ফুটবলকেই ৷ যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই ক্রোয়েশিয়া জাতীয়দল ১৯৯১ সালে তৈরি হয়। এরপর ১৯৯৩ সালে ফিফা ও উয়েফা’র সদস্যপদ লাভ করে ক্রোয়েশিয়া ফুটবল দল ৷ ১৯৯৬ সালের উয়েফা ইউরোয় খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ঘরে বসে এইভাবে হচ্ছে 'মোটা' ইনকাম, পথ দেখাচ্ছেন গৃহবধূ! বড় সুযোগ মিস করবেন না
আরও দেখুন

১৯৯৮ সাল ৷ প্রথমবার ফিফা বিশ্বকাপে মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন ক্রোটরা ৷ এবং প্রথমবারেই বাজিমাত ৷ প্রতিযোগিতায় তারা তৃতীয় হয়ে ফুটবল দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেয়। ডাভর সুকের সোনার বুট পান ৷ এরপর থেকেই ক্রোয়েশিয়া দল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিয়মিতভাবে অংশ নিলেও ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ও ২০০০ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পারেনি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
রাজনৈতিক অস্থিরতায় যখন ত্রাতা ফুটবল, ক্রোট-বেলজিয়াম এবং...