আপনি বলতেই পারেন, দুটি দেশের অবস্থান থেকে ইতিহাস, কোথাও মিল নেই ৷ তা হলে কেন আলোচনা ? দেখে নেওয়া যাক বেলজিয়ামের ফুটবল উত্থানের ইতিহাসটা ৷
মোটামুটি অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি ফুটবল জনপ্রিয় হতে শুরু করে বেলজিয়ামে ৷ বস্তুত বেলজিয়ামই প্রথম ইউরোপীয় দেশ, যারা অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল শুরু করে ৷
এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে মোটামুটি বেলজিয়ামের উত্থান বলাই যায় ৷ ১৯০৫ থেকে বছরে দুটি করে ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে খেলত বেলজিয়াম ৷ যা পরে বেলজিয়াম-ডাচ ট্রফি নাম হয় ৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন বেলজিয়াম ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কয়েকটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলে ৷ যে গুলি ফিফা-র স্বীকৃতি পায়নি ৷ ১৯১৫ থেকে ১৯১৯ পর্যন্ত বেলজিয়াম কোনও অফিসিয়াল ম্যাচ খেলেনি ৷ বিশ্বযুদ্ধে বেলজিয়াম দলের ৩ জন প্লেয়ার নিহত হন ৷
advertisement
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে একাধিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বাতিল করা হয়৷ যদিও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ডার্বি এর মধ্যেও চলতে থাকে ৷ আনঅফিসিয়ালি ৷
১৯৭৮ সাল থেকে ফুটবল বিশ্বে বেলজিয়ামের স্বর্ণযুগ শুরু হয় ৷ গাই থাইসের কোচিংয়ে একশোরও বেশি অফিসিয়াল ম্যাচ খেলে বেলজিয়াম ৷ ১৯৮২ থেকে ২০০২ -- প্রত্যেকটি বিশ্বকাপে বেলজিয়াম কোয়ালিফাই করে৷ যার নির্যাস, একটা অস্থির সময় থেকে ঘুরে দাঁড়ানো একটা দল ৷
আশির দশক ৷ অত্যন্ত অস্থির সময় ৷ যুগোস্লোভিয়ার ভাঙন ৷ ক্রোটরাও স্বাধীনতা চাইছে ৷ এই সময়টায় ক্রোটরা শান্তির জন্য আঁকড়ে ধরে ফুটবলকেই ৷ যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই ক্রোয়েশিয়া জাতীয়দল ১৯৯১ সালে তৈরি হয়। এরপর ১৯৯৩ সালে ফিফা ও উয়েফা’র সদস্যপদ লাভ করে ক্রোয়েশিয়া ফুটবল দল ৷ ১৯৯৬ সালের উয়েফা ইউরোয় খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
১৯৯৮ সাল ৷ প্রথমবার ফিফা বিশ্বকাপে মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন ক্রোটরা ৷ এবং প্রথমবারেই বাজিমাত ৷ প্রতিযোগিতায় তারা তৃতীয় হয়ে ফুটবল দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেয়। ডাভর সুকের সোনার বুট পান ৷ এরপর থেকেই ক্রোয়েশিয়া দল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিয়মিতভাবে অংশ নিলেও ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ও ২০০০ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পারেনি।