পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মধুমিতা দাস বৈরাগ্যকে গত ১০ই নভেম্বর একই গ্রামের বাসিন্দা মনু প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় ৷ তারপর সেখানে ধর্ষন করা হয় ৷ ধর্ষণের পরে মধুমিতা দাস বৈরাগ্যকে মাথায় সিঁদুর দিয়ে দেয় মনু মন্ডল। ঘটনার পর গ্রামে জানানো হয় মনু মন্ডল সাথে মধুমিতা দাস বৈরাগ্য বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ঘটনার জেরে পরিবারের সদস্যরা খবর পেলে মধুমিতা দাস বৈরাগ্য কে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে গেলে গ্রামের অন্য বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়ে ফিরিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন - #Viral: মহিলার স্কার্টের ভিতর একের পর এক ঢুকে যাচ্ছে বাঁদর, দেখুন Tiktok ভিডিও
পরে বেলডাঙা থানায় মেয়ে কে ফিরে পাবার আশায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় মনু মন্ডল এবং পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে মনু মন্ডল সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে এবং মধুমিতা দাস বৈরাগ্য কে থানায় হাজির করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু শনিবার সকালে মনু মন্ডল কে রেখে বাকি দুজনকে বেলডাঙা থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফলে দোষীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এই কথা শুনে শনিবার সকালে মানসিক অবসাদে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মধুমিতা দাস বৈরাগ্য। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলডাঙা থানার পুলিশ, পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে । বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্ত মনু মন্ডল বলে পুলিশ জানিয়েছে। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও দেখুন