পুলিশ সূত্রে খবর, 'অভিযোগকারিণীর দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬ সাল থেকে লাগাতার তাঁকে ধর্ষণ করেছেন শোয়েব খান নামে বছর ৩০-এর এক যুবক। শোয়েবকে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার কথা জানালে, তিনিই যুবতীকে ইউটিউব দেখে ভ্রুণের গর্ভপাত করার নির্দেশ দেন এবং বেশ কিছু ওষুধও খেতে বলেন।' শোয়েবের কথায়, ইউটিউবের ভিডিও দেখে নিজে নিজে গর্ভপাত করতে গিয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন ওই যুবতী। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ার তাঁকে পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে নিয়ে যান। আপাতত হাসপাতালেই রয়েছেন 'নির্যাতিতা'।
advertisement
কিছুদিন আগেই কোচিতে এক নাবালিকাকে ২০ বছরের এক যুবকের ধর্ষণের (Minor Rape) অভিযোগ ওঠে। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যান ওই মেয়েটি। হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে সেখানকার শৌচালয়েই অপরিণত ভ্রুণের জন্ম দেন তিনি। সেই মুহূর্তে ভয় পেয়ে গিয়ে ভ্রুণটিকে শৌচালয়ের কমোডে ফ্লাশ করে ফেলেন 'ধর্ষিতা'। মেয়েটির পরেই অপর একজন ওই শৌচালয়ে গিয়ে ভ্রুণটিকে দেখতে পান এবং পুলিশকে সে বিষয়ে খবর দেন তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে প্রাথমিক ভাবে জানতে পারে, হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে আসা ওই নাবালিকাই ভ্রুণটির জন্ম দিয়েছেন। এবং তিনিই সেটিকে ফ্লাশ করার চেষ্টা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৮ মাসের সন্তানকে বেধড়ক কিল-চড়-ঘুষি মায়ের, নিজেই রেকর্ড করল ভিডিও! কেন?
নাবালিকার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে, তিনি জানান, ২০ বছরের এক যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেছিল। তবে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বাড়িতে জানাননি তিনি। ৬ মাস ধরে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেয়েটির মা তাঁকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। সেখানেই ভ্রুণের অপরিণত জন্ম হয়ে যায় শৌচালয়ে। মেয়েটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওয়ানাডের বাসিন্দা এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। কোচি থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়।