পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল এক ব্যক্তি তাঁর বন্ধুর মায়ের গুরুতর আহত হওয়ার খবর পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ৮৬ বছরের হাসি সোমকে রান্নাঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। মৃত বৃদ্ধার শরীরে বিভিন্ন অংশে জোরাল আঘাত দেখতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ভাত রান্না না করায় চরম পরিণতি! স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করল স্বামী, ঘটনা জানলে হাড় হিম হয়ে যাবে
advertisement
বৃ্দ্ধার ছেলে সুরজিৎ জানান, যে বহুদিন ধরেই আর্থারাইটাসে ভুগছিলেন বৃদ্ধা। নিজের স্ত্রী ও ১৬ বছরের সন্তানকে নিয়ে নেব সারাইয়ের এক রেসিডেন্সিতে থাকতেন সুরজিৎ। কলকাতায় একা থাকতেন তাঁর মা। তবে শারীরিক অসুস্থাতার কারণে ২০২২ সালে ছেলের রেসিডেন্সিতেই ওঠেন হাসি সোম।
বৃদ্ধার ঘরে একটি সিসিটিভিরও সন্ধান পান পুলিশ তবে তাতে কোনও মেমোরি কার্ড না মেলায় বৃ্দ্ধার ছেলে সুরজিৎ জানান, বৃ্দ্ধাকে দেখাশোনার জন্যই সিসিটিভি লাগানো ছিল এবং তার ফোনের মাধ্যমে সিসিটিভির ফুটেজ দেখা যেত। তবে দুর্ঘটনার দিন পাওয়ার কাট হওয়ায় সিসিটিভি বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: সিনেমায় অভিনয়ের টোপ! প্রথমে নগ্ন ছবি, টালিগঞ্জের স্টুডিওয় সর্বনাশ নাবালিকার
পরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু অস্বাভাবিক বলে জানতে পারে পুলিশ। পড়ে গিয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়নি বলে জানা যায় ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকে এবং মৃতার শরীরে প্রায় ১৪ ক্ষত রয়েছে। ময়নাতদন্তের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুলিশকে ডাকার আগেই সিটিভির মেমোরি কার্ড খুলে রেখেছিল বলে জানায় সুরজিৎ। ইতিমধ্যেই বৃ্দ্ধার পুত্রবধূ শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
