২৩/১০ নাকতলা রোডের দেবজ্যোতি অ্যাপার্টমেন্টের চারতলায় পুরনো ফ্ল্যাট কিনে স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে থাকতেন কাঞ্চন দেব। কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত।
সোমবার রাতেই গ্রেফতার হন কাঞ্চন। ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও মঙ্গলবার নাকতলা নবোদয় ক্লাবের থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নাকতলা রোডের বাসিন্দাদের বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না। কাঞ্চন এই পাড়ায় উঠে এসেছেন এখনও বছর ঘোরেনি। তার মধ্যেই প্রতিবেশীর এই কীর্তি শুনে কপালে চোখ ওঠার জোগাড় কাঞ্চনের পড়শিদের।
advertisement
কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কাঞ্চন দেবের ফ্ল্যাটের নীচের ফ্ল্যাটে থাকেন বিশ্বজিৎ বাবু। মধ্য বয়স্ক বিশ্বজিৎ বলছিলেন,"এই পাড়ায় নতুন এসেছিল। ফলে পাড়ার লোকজন সেভাবে চেনে না। কিন্তু একই অ্যাপার্টমেন্টে থাকার সুবাদে আমার সঙ্গে যাতায়াতের পথে দেখা হতো। মাস কয়েক আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কাঞ্চন। কিন্তু পড়শির এই গুণের কথা জানা ছিল না।"
মুখের কথা সরছিল না ২৩/১০ নাকতলা রোডের উল্টো দিকের বাড়ির মধ্যবয়স্ক ভদ্রমহিলার। ওই পাড়ায় কুড়ি বছরের বেশি কাটিয়ে ফেলা মিঠুদেবী ক্ষোভের সঙ্গে বলছিলেন, "পাড়াটা আগেই ভালো ছিল। নতুন নতুন লোকজন সব আসছে পাড়ায়। কে কী করে জানিও না! কাঞ্চনকে দু-একবার দেখেছি! কথা হয়নি! বলতো তো ডব্লুবিসিএস অফিসার। কিন্তু আদতে কি করত, সে তো আজ জানলাম।"
কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের দ্বারা প্রতারিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে দেবাঞ্জনের সংস্থায় দ্বিতীয় ক্ষমতাধারী ব্যাক্তি ছিলেন কাঞ্চন। দেবাঞ্জনের প্রতিটি কুকীর্তি জানতেন কাঞ্চন। অফিসে দেবাঞ্জনের পাশের রুমেই কাঞ্চন।
PARADIP GHOSH