নয়া কৃষক আইনের প্রতিবাদে লাগাতার চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনে যোগ দিতে একটি দলের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রওনা হয়েছিলেন ২৫-এর ওই যুবতী। গত ১০ এপ্রিল টিকরির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল ওই দলটি। গত ২৬ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঝাজ্জর জেলার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় যুবতীকে। পুলিশের দাবি, গত ৩০ এপ্রিল মৃত্যু হয়েছে মেয়েটির। বাহাদুরগড় পুলিশের আধিকারিক বিজয় কুমার জানিয়েছেন, মেয়েটির বাবা তার পর গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় অভিযুক্ত দুই।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, টিকরিতে আসার সময় দলেরই দুই ব্যক্তি ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। তারা প্রত্যেকেই কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে আসছিলেন। গোটা ঘটনার কথা মেয়েটি ফোনে তাঁর বাবাকে জানিয়েছিলেন। পুলিশের দাবি, 'হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই মেয়েটির মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে মেয়েটিকে তারা কোভিড ১৯ পজিটিভ রোগীর মতো করেই চিকিৎসা চালাচ্ছিল। হাসপাতালের কাছে সমস্ত নথি চাওয়া হয়েছে। পেলে বোঝা যাবে ঠিক কী কারণে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে।'
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। টিকরি সীমান্তে তাঁদের এক সদস্য জানিয়েছেন, 'কিষাণ সোশ্যাল আর্মি রূপে বাংলা থেকে কয়েকজনের সঙ্গে মেয়েটি এখানে এসেছিলেন। টিকরি থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে মেয়েটিকে কয়েকজন মিলে শারীরিক নির্যাতন করে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নজরে এই ঘটনা আসার পরই এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। চার দিন আগেই টিকরি কমিটি কিষাণ সোশ্যাল আর্মির নামে তৈরি সমস্ত তাঁবু সরিয়ে দিয়েছে।'