এমনকী নিজের মেয়েকেও বিয়ে করেছিল সেই ব্যক্তি। বেশ কয়েকমাস ধরেই তার উপর নজর রাখতে শুরু করেছিলেন এফবিআই-এর গোয়েন্দারা। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে স্থানীয় একটি আদালতে তোলা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম স্যামুয়েল ব়্যাপিলি। জানা গিয়েছে, তার ৫০ জন অনুগামী ছিল এবং স্ত্রীয়ের সংখ্যা ২০। এদের মধ্যে অধিকাংশ ছিল নাবালিকা। কারোর বয়স তো ৯ বছরের নিচে। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ওই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে তার কোনও অনুগামী বা স্ত্রী অভিযোগ দায়ের করেনি। কিন্তু গোপন সূত্রে ওই ব্যক্তির কার্যকলাপ সম্পর্কে খবর আসে এফবিআই-এর কাছে। তারপরেই নজর রাখা শুরু করেন গোয়েন্দারা।
advertisement
তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ব্যক্তির নারী পাচারেও যোগ থাকতে পারে। নাবালিকাদের বিয়ে করে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। নিজের নাবালিকা মেয়েকেও বিয়ে করেছে ওই ব্যক্তি। ২০১৯ সালে ওই ব্যক্তি প্রথমে নিজেকে ঈশ্বর হিসাবে প্রচার করতে শুরু করে। মগজধোলাই করে নিজের অনুগামীর সংখ্যা বাড়াতে থাকে সে। সেই সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন হয়েছে ৫০।
আরও পড়ুন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রাতভর ঘেরাও-উত্তেজনা, মামলা দায়ের হাইকোর্টে
ওই ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশে নাবালিকা মেয়েদের পাচার করত বলে অনুমান পুলিশের। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে প্রমাণ জোগাড় করতে শুরু করেছে পুলিশ। আপাতত জেলে বন্দি ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় একটি আদালতে মামলা চলছে তার বিরুদ্ধে। তবে তার অনুগামীদের অনেকে নিখোঁজ। তদন্তকারীদের অনুমান, তারা গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে সম্ভবত। তাদেরও খোঁজ চলছে।