১২ জানুয়ারি কেতুগ্রামের আমগড়িয়া বাজারে চায়ের দোকানে গুলি বিদ্ধ হয়ে খুন হন রতনপুরের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী তথা ব্যবসায়ী ইয়াসিন শেখ ওরফে দুলাল। তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী জুমাতুন বিবিকে বাইকে চাপিয়ে সালার থেকে ফিরছিলেন। চায়ের দোকানে তাঁকে গুলি করা হয়। তাঁর স্ত্রী জুমাতুন বিবি কেতুগ্রাম থানায় রতন খান-সহ চারজনের নামে খুনের লিখিত অভিযোগ জানান। তারপরেই কেতুগ্রামের নবস্থা গ্রামের বাসিন্দা রহমত শেখ ওরফে জালাল ও আরনা শেখকে গ্রেফতার করে।
advertisement
আরও পড়ুন- ভিসা ছাড়াই যে ৫৯টি দেশে যেতে পারবেন ভারতীয় পাসপোর্ট হোল্ডাররা, জেনে নিন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করে মুর্শিদাবাদে গা ঢাকা দিয়েছিল মূল অভিযুক্ত রতন খান। পরে কেতুগ্রাম ফিরে মাঠের মধ্যে সাবমার্সিবল পাম্পের ঘরে লুকিয়েছিল। শেষপর্যন্ত রবিবার সকালে কেতুগ্রামের নতুনগ্রাম থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মায়ের খুনে বদলা নিতে সে ব্যবসায়ী ইয়াসিন শেখ ওরফে দুলালকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি।
আরও পড়ুন- কলকাতার তাপমাত্রা আরও একটু বাড়ল, আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনার পর রতন বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। সে নিজের মোবাইল ব্যবহার করছিল না। সে কারণে পুলিশ তার ফোনের সূত্র ধরে টাওয়ার লোকেশন জানতে পারে নি। সে ফোনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল না। এখানকার পরিস্থিতি জানতে সে ফিরে এসেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে পাকড়াও করে। তবে খুনের ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তের ব্যাপারে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনে ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধারের চেষ্টা করছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।