নিজের প্যান কার্ডের তথ্যের অপব্যবহার কীভাবে আটকাবেন?
- যে কোনও জায়গায় প্যান কার্ডের তথ্য দেবেন না। তার বদলে ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য ব্যবহার করুন। এই ধরনের তথ্য ব্যবহার করে প্রতারণার সম্ভাবনা কম থাকে।
- একমাত্র পরিচিত, নির্ভরযোগ্য সংস্থা এবং ব্যক্তিকেই কোনও প্রয়োজনে প্যান কার্ডের তথ্য জানান। ফোটোকপি দিলে তাতে সই করে ডেট দিয়ে দিন।
- অনলাইন পোর্টালগুলিতে নিজের পুরো নাম এবং জন্ম তারিখ দেবেন না। এই তথ্য ব্যবহার করে আপনার প্যান কার্ডের তথ্যের হদিশ পেতে পারে প্রতারকরা।
- আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত রাখবেন না। কেন্দ্রীয় সরকার সর্বশেষ নির্দেশ অনুযায়ী আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংযুক্তিকরণ আর বাধ্যতামূলক নয়।
- আপনার অজান্তে আপনার নামে কোনও ক্রেডিট কার্ড ইস্যু হয়েছে কি না অথবা কোনও লোন দেওয়া হয়েছে কি না তা জানতে নিয়মিত নিজের ক্রেডিট রিপোর্ট দেখুন।
- নিজের ফোনের গ্যালারি বা অ্যালবামে নিজের প্যান কার্ডের ছবি তুলে রাখবেন না। সেক্ষেত্রে ফোন হারিয়ে গেল প্যান কার্ডের অপব্যবহারের সম্ভাবনা বাড়ে।
advertisement
প্যান কার্ড প্রতারণার হাত থেকে বাঁচার সবথেকে সহজ উপায় সিবিল রিপোর্ট নিয়মিত পরীক্ষা করা। এই রিপোর্টেই আপনার যাবতীয় লোন এবং ক্রেডিট কার্ডের তথ্য থাকে। যদি সিবিল রিপোর্টে দেখেন যে আপনার অজান্তে আপনার নামে কোনও লোন অথবা ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। শুধু সিবিল রিপোর্ট নয়, ইক্যুইফ্যাক্স, এক্সপেরিয়ান, পেটিএম, ব্যাঙ্ক বাজার বা সিআরআইএফ হাই মার্কের রিপোর্টের উপরেও নির্ভর করতে পারেন।
প্যান কার্ডের অপব্যবহার বা প্রতারণার শিকার হলে কোথায় অভিযোগ করবেন?
- প্রথমেই TIN NSDL-এর পোর্টালে যান৷
- হোম পেজে কাস্টমার কেয়ার অপশনে যান৷
- তার মধ্যে ড্রপ ডাউন মেনুতে কমপ্লেইন্টস/কোয়্যারিস অপশনে ক্লিক করুন৷ একটি কমপ্লেইন্ট ফর্ম খুলবে৷
- ওই ফর্মেই যাবতীয় তথ্য দিন৷ এর পর ক্যাপচা কোড লিখে অভিযোগ পত্র জমা দিন৷
সেলিব্রিটিরা কীভাবে প্রতারণার শিকার হলেন?
গুগল থেকেই এই সেলিব্রিটিদের জিএসটি সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে যায় প্রতারকরা৷ তারা ভাল ভাবেই জানে যে জিএসটিআইএন-এর প্রথম দুটি সংখ্যা হয় স্টেট কোড৷ বাকি দশটি ডিজিট হল প্যান নম্বর৷ এই সেলিব্রিটিদের জন্ম তারিখও গুগলে পাওয়া যায়৷ ফলে সহজেই সেলিব্রিটিদের প্যান নম্বর এবং জন্ম তারিখ পেয়ে যায় প্রতারকরা৷ এর পর এই তথ্য দিয়েই নকল প্যান কার্ড তৈরি করে নিজেদের ছবি বসিয়ে দেয় প্রতারকরা৷ যাতে ভিডিও ভেরিফিকেশনের সময় তাদের সঙ্গে প্যান- আধার কার্ডের উপরে দেওয়া ছবি মিলে যায়৷
এই একই কায়দায় সেলিব্রিটিদের আধার তথ্যও হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা৷ প্যান, আধারের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পর ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করে প্রতারকরা৷ ভিডিও ভেরিফিকেশনের সময় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবও প্রতারকরা দিয়ে দেয়৷ কারণ সেলিব্রিটিদের সিবিল রিপোর্ট দেখে সেই তথ্যও হাতে পেয়ে যায় প্রতারকরা৷
ওই প্রতারকরা ভাল ভাবেই জানে যে সেলিব্রিটিদের সিবিল স্কোর ভাল৷ ফলে ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করলে তা পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি৷