দলজিৎ বেনিওয়াল বলেন, “যাঁরা এবার কনস্টেবল পরীক্ষায় বসায় পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁদের কাছে উত্তরপত্র বিক্রি করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা। প্রায় ১৮ লাখ টাকায় সেগুলি বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিল। কুণাল ফতেহাবাদ এলাকায় একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে। আমরা খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছিলাম এবং অভিযুক্তের ফোন থেকে আমরা উত্তরপত্র উদ্ধার করি। পাশাপাশি সতীশকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় তারা জানিয়েছে ভান সিং তাদের উত্তরপত্র পৌঁছে দিয়েছে। পুরো ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সন্দীপ এবং রমেশ নামে অন্য দুই যুবক।”
advertisement
অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে তাদের ন’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২টি অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে আগেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার পর গতকাল রাতে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে হিসার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কৈথালের পুলিশ সুপার লোকেন্দর সিং জানিয়েছেন, ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তিন জনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে ওই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য এই নিয়ে বেশি মন্তব্য করতে চায়নি। উত্তরপত্র কোথা থেকে পেয়েছে তাও জানায়নি পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এই সব বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলা হবে না।
এই নিয়ে হরিয়ানায় রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রেসিডেন্ট কুমারী সেলজা (Kumari Selja) হরিয়ানা হাই কোর্টের বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও বড় মাথা জড়িত থাকতে পারে।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “এই সরকার থাকাকালীন হরিয়ানায় ৩৫টিরও বেশি প্রশ্নপত্র লিক হয়েছে। পুরনো ঘটনা থেকে কোনও শিক্ষা নিচ্ছে না সরকার। দিনের পর দিন এই চক্রটি বাড়ছে।”