বছর ষোলর হিনা খান (নাম পরিবর্তিত) তার বয়ানে জানান, যে প্রায় আট ঘণ্টা ধরে একজন তার পা ধরে ছিল আর অন্যজন তার পেটের উপর চাপ দিতেই থাকে যতক্ষণ না গর্ভস্থ সন্তানটি বেরিয়ে আসে ৷ অসম্ভব এই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন হিনা ৷
পরের দিন ভোর চারটের সময় তার জ্ঞান ফিরতেই নিজের গর্ভস্থ সন্তানকে একটি কালো প্লাস্টিক ব্যাগে মুড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান তিনি ৷
advertisement
হিনা জানান, গর্ভপাতের পর তার ভাই ফিরদৌস তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে ভুয়ো ডাক্তার উর্মিলা তাকে বাঁধা দেয় ৷ গর্ভপাতের জন্য উর্মিলা ৬ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন ৷ কিন্তু আড়াই হাজার টাকা বাকি থাকায় সে হিনাকে একটি ঘরে আটকে রাখে হিনাকে ৷
কোনও উপায় না দেখে পুলিশকে খবর দিতে বাধ্য হয় ফিরদৌস ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্লাস্টিকে মোড়া শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ ফিরদৌস ও তার মাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷
হিনা জানিয়েছেন, মহম্মদ ইউনাস নামে এক প্রতিবেশী দু’বার তাকে ধর্ষণ করে ৷ এর ফলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ৷ এবং বেশ কয়েকমাস ধরে তাকে মারধর করত ৷ এরপর তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে শহর থেকে দুরে একটি ভুয়ো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
পুলিশ জানিয়েছে, ইউনুসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক ৷ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ৷ অন্যদিকে, ভুয়ো ডাক্তার উর্মিলাকে বেআইনি গর্ভপাত করানোর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সিল করে দেওয়া হয়েছে তার ক্লিনিক ৷