ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩ ও ৪ ধারায় রাজেশ দাসের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তামিলনাড়ুতে মহিলাদের হেনস্থার বিরুদ্ধে লাগু আইনেও মামলা হয়েছে। এফআইআরে ছেঙ্গালপাট্টুর পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ডি কান্নানের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, অভিযোগকারিণী মহিলা অফিসারকে রাজেশ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা থেকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন কান্নান। কারণ, রাজেশ দাস সেই সময় কান্নানের উপরের পোস্টে নিযুক্ত ছিলেন।
advertisement
এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই রাজেশ দাসকে কম্পালসারি অপেক্ষায় পাঠানো হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। গত শনিবার তামিলনাড়ুর ডিজিপি জে কে ত্রিপাথি এ নিয়ে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। মহিলা আইপিএস অফিসারের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হয়।
যৌন হেনস্থার আইন অনুযায়ী, তামিলনাড়ু সরকার পুলিশের অন্দরেই একটি কমিটি গঠন করেছিল। এই ধরনের সমস্ত অভিযোগ সেখানেই জমা পড়ত এবং সেগুলির নিষ্পত্তি করা হত। কিন্তু মহিলা অফিসার আলাদা করে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরই এটি মামলা করা হয়। অন্যদিকে, রাজ্যের মহিলা কমিশনও একটি সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে। সেখানে দু'সপ্তাহের মধ্যে ডিজিপি এবং রাজ্যের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর একটি সফরের সময় রাজেশ দাস এবং ওই মহিলা অফিসার একই সঙ্গে নিযুক্ত ছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।