হরিদেবপুরের বাসিন্দা এক কিশোরীর মুখে এমন অভিযোগ শুনে চমকে উঠেছিলেন হরিদেবপুর থানার পুলিশ কর্মীরাও৷ যদিও নিজের অভিযোগের স্বপক্ষে একটি চ্যাটিং অ্যাপে মায়ের সঙ্গে প্রেমিকের কথোপকথনের স্ক্রিনশট পুলিশকে দেখায় ওই কিশোরী৷ সঙ্গে জমা দেয় বেশ কিছু ছবিও৷
আরও পড়ুন: স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তির জেরে দু-দু'টো খুন, পালাতে গিয়ে মৃত অভিযুক্ত নিজেও! চাঞ্চল্য মালদহে
advertisement
এই অভিযোগ পেয়েই কিশোরীর অভিযুক্ত মা এবং প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ আজই তাঁদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে৷ ধৃত ওই মহিলা রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতরের কর্মী৷ তাঁর প্রেমিক রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত৷ তাঁকেও হুগলির চন্দননগর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
জানা গিয়েছে, হরিদেবপুেরর একটি ফ্ল্যাটে ১৬ বছরের কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে থাকত৷ দাম্পত্য কলহের জেরে কিশোরীর বাবা এবং মা আলাদা থাকেন৷ কিশোরীর অভিযোগ, সম্প্রতি সে ফ্ল্যাটে থাকা অবস্থাতেই তাতে আগুন ধরিয়ে দেন তার মা৷ কিন্তু প্রাণে বেঁচে যায় কিশোরী৷ এর পরেই প্রেমিকের সঙ্গে মায়ের কথোপকথন শুনে ফেলে সে৷ কিশোরীর দাবি, মেয়ে যে মারা যায়নি, ফোনে প্রেমিককে সেকথাই জানাচ্ছিলেন মা৷
আরও পড়ুন: প্রেমিকার দেখা নেই, বন্ধ দরজা খুলতেই বীভৎস দৃশ্য, দেহ আগলে প্রেমিক!
মায়ের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে নিশ্চিত হতে তাঁর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখে ওই কিশোরী৷ সেখানেই একটি চ্যাটিং অ্যাপে মায়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের কথোপকথন নজরে আসে কিশোরীর৷ অভিযোগ, কিশোরীকে প্রাণে মারার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে দিয়েছিল মায়ের প্রেমিক৷ এমন কী, অ্যাসিড মেরেও তাকে প্রাণে মারা যায় কি না, সেই পরামর্শও মায়ের প্রেমিক দিয়েছিল বলে অভিযোগ কিশোরীর৷
সূত্রের খবর, গত মার্চ মাসে এই প্রেমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় খাদ্য দফতরের কর্মী ওই মহিলার৷ চ্যাটিং অ্যাপে মা এবং তাঁর প্রেমিকের কথোপকথনের স্ক্রিনশট নিয়ে হরিদেবপুর থানায় যায় কিশোরী৷ তারই ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ঘটনার কথা জেনে শিউরে উঠছেন কিশোরীর প্রতিবেশীরাও৷
