১২ এপ্রিল। স্পেশ্যাল ক্লাসের নামেই পুরো ঘটনার ছক কষে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক। নির্যাতিতা ও পরিবারের একাংশের তরফে জানা গিয়েছে, ওই দিন নিয়মিত ক্লাসের শেষে স্কুল ছাত্রীকে কিছুক্ষণের জন্য ক্লাসে থাকার কথা বলে তার শিক্ষক। জানায়, একটি স্পেশ্যাল ক্লাস রয়েছে। তাই একটু থেকে যেতে হবে। শিক্ষকের কথা মতো অপেক্ষা করতে থাকে ওই দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এর পর ক্লাসের মধ্যে ওই নাবালিকার উপরে শারীরিক নির্যাতন চালায় সে।
advertisement
প্রথম প্রথম কিছুটা ভয় পেয়ে যায় নাবালিকা। লোক জানাজানি হলে কী হতে পারে, সেই ভয়েই কাউকে বলতে চায়নি। কিন্তু বেশি দিন এভাবে থাকতে পারেনি সে। দিন তিনেক পর অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল পরিবারের লোকজনের কাছে সমস্ত কথা জানায় ওই নির্যাতিতা। বিষয়টি স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পৌঁছায়। পুরো ঘটনা শোনার পর তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন তিনি। স্কুলের ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়। এদিকে খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় পরিজনরা অভিযুক্তের উপর চড়াও হয়। রীতিমতো মারধর করতে শুরু করে তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ। পরে পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর ৩৫৪-A ধারার অধীনে ওই স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তকে জেরা করার পাশাপাশি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই নির্যাতিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্কুলের অন্য কোনও পড়ুয়া এই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছে কি না, সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।