তবে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন জ্যোতিও। তাঁর দাবি, অলোক আসলে এক জন সাফাইকর্মী। অথচ বিয়ের সময় জানিয়েছিলেন যে, তিনি এক জন গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসার। এমনকী সেটা বিয়ের কার্ডেও লেখা ছিল। ফলে ২০১০ সালের সেই বিয়ের কার্ডও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছেই। ফলে সরগরম নেটদুনিয়াও। জ্যোতি-অলোকের সম্পর্কের মতো এমন অপ্রীতিকর পরিণতি যাতে না হয়, সেই কারণে ওই রাজ্যের বহু স্বামীই আতঙ্কে স্ত্রীদের পড়াশোনা ছাড়িয়ে দিচ্ছেন। অলোক-জ্যোতির এই অভিযোগ প্রসঙ্গে এবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন জ্যোতির বাবাও।
advertisement
কী বলছেন তিনি? জ্যোতির বাবা পরশনাথ আদতে বারাণসীর চিরাইগাঁওয়ের বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, মেয়ের সঙ্গে বিয়ের সময় অলোক মৌর্য নিজেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসার বলে দাবি করেছিলেন। শুধু অলোকই নন, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও একই কথা জানিয়েছিলেন। এমনকী জ্যোতি-অলোকের বিয়ের কার্ডেও অলোক কোন পদে চাকরি করেন, সেটা উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে জানা যায় যে, অলোক এক জন চতুর্থ শ্রেণীর সাফাইকর্মী।
পরশনাথের কথায়, “মিথ্যার উপর ভিত্তি করে যে সম্পর্ক বা বিয়ে হয়, তার পরিণতি তো এমনই হওয়া উচিত!” তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন যে, অলোক এক জন বড় প্রতারক। এমনকী পিছিয়ে নেই তাঁর পরিবারও। আসলে তাঁরাও বড় মিথ্যাবাদী। যেমন- অলোকের দাদা অশোকের বিরুদ্ধেও রয়েছে এমন গুরুতর অভিযোগ। তিনি আসলে পেশায় এক জন ঝাড়ুদার। অথচ নিজের বিয়ের কার্ডে তিনি নিজেকে শিক্ষক বলে পরিচয় দিয়েছেন।
অন্য দিকে, অলোকের অভিযোগ ছিল, তিনি তাঁর স্ত্রী জ্যোতিকে পড়াশোনার জন্য যথাসম্ভব সাহায্য করেছিলেন। এমনকী পিসিএস অফিসার হওয়ার জন্য উৎসাহও দিয়েছিলেন। কিন্তু অফিসার পদ অর্জনের পরেই সব কিছু বদলে যেতে থাকে। অভিযোগ, জ্যোতি প্রতারণা করেছেন স্বামীর সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে কে ঠিক বলছেন, আর কে ভুল বলছেন, সেটা সময়ই বলবে! আপাতত আদালত দেখছে পুরো বিষয়টি!