খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ৷ গোটা ঘরে রক্ত ছড়িয়ে ছিল ৷ কিন্তু ঘরের বাইরে এক ফোঁটাও রক্ত পাওয়া যায়নি ৷ বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান যে আশপাশের কোনও ব্যক্তি এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে ৷ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জীতেন্দ্র জানিয়েছিলেন, তিনি স্ত্রীর সঙ্গে উপরের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন ৷ কিন্তু মধ্যরাতে কোনও আওয়াজ বা চিৎকার চেঁচামেচি তারা শুনতে পায়নি ৷ সকালে নীচে নেমে দেখেন মৃত অবস্থায় রেনু দেবী বিছানায় পড়ে রেয়েছেন ৷ এরপর ফরেন্সিক টিমের সঙ্গে পুলিশ ডগ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ ঘটনাস্থল দেখার পর স্নিফার ডগ জীতেন্দ্রের হাত কামড়ে ধরে ৷ জীতেন্দ্রের হাত খতিয়ে দেখা হলে তাতে রেনু দেবীর চুল পাওয়া যায় ৷
advertisement
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সামনে জীতেন্দ্র ভেঙে পড়েন এবং নিজের দোষ স্বীকার করে নেন ৷ রেনু দেবীর ছেলে জানান, তিনি বেকার ছিলেন তাই মাঝেমধ্যেই তার মা চাকরি করার কথা বলতেন ৷ বেকার বলে মাঝেমধ্যেই কথা শোনাতেন ৷ বুধবার রাতেও এরকম কথা বলায় জীতেন্দ্রের মাথা গরম হয়ে যায় ৷ এরপর হাতুড়ি দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করলে সেখানেই মৃত্যু হয় রেনু দেবীর ৷ খুন করার পর বাথরুমে গিয়ে জামা কাপড় ধুয়ে ফেলেন ৷ এরপর উপরে গিয়ে স্ত্রীর পাশে ঘুমিয়ে পড়েন ৷ সকালে উঠে একের পর এক মিথ্যে কথা বলতে থাকেন ৷ তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকার করে নেন ৷ আপাতত তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন ৷