অভিনেতার প্রাক্তন হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকেও গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাদক সেবন, নিজের কাছে মাদক রাখা, মাদকের লেনদেন, মাদক বিক্রি। ১৯৮৫ সালের নার্কোটিক ড্রাগ অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনে মামলা রুজু করেছে NCB। তদন্তকারীদের দাবি জেরায় সৌভিকের ভাই স্বীকার করেছেন যে তিনি মাদক পাচারে জড়িত। নিজে মাদক নিতেন।
advertisement
সুশান্তকেও মাদক সরবরাহ করতেন। সৌভিক রিয়ার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে মাদক কিনতেন বলে অভিযোগ।এমন ১২টি লেনদেনের কথা জানা গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। NCB-র দাবি, সৌভিকের সঙ্গে একাধিক সেলিব্রিটিরও যোগ রয়েছে। মাদকচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সুশান্তের প্রাক্তন হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাও গ্রেফতার।
কীভাবে সুশান্ত মৃত্যুতে মাদক যোগের হদিশ পেলেন তদন্তকারীরা? সূত্রের খবর, রিয়ার মোবাইল ফোন ক্লোন করে সিবিআই ৷ বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাদের নজরে আসে। সাংকেতিক ভাষায় চলত মাদকের লেনদেন। প্রতিটি মাদকের জন্য আলাদা কোড থাকত। যেমন, WEED কে বলা হত মার্কিন ডলার। ব্লু-বেরি কুশ মানে ব্রিটিশ পাউন্ড। ডিরহাম বলা হত স্ট্রবেরি কুশকে। স্থানীয় WEED-এর কোড ছিল ভারতীয় টাকা। এই সব তথ্য NCB-কে দেয় CBI। নানা ছলা-কলার পরেও শেষ রক্ষা হল না। সুশান্তকাণ্ডে মাদক যোগের অভিযোগে পরপর গ্রেফতারি। জালে সৌভিক। এরপর কি রিয়ার গ্রেফতারের পালা ?