দশমীর দিন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে একই পরিবারের তিনজন খুন। যা নিয়ে আপাতত উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। প্রশ্ন উঠছে পুলিশি তদন্ত নিয়েও। তবে এই খুনের পিছনে রাজনীতি নয়, ব্যক্তিগত কারণই দেখছেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার রাজ্য পুলিশ টুইটে জানায়,
জিয়াগঞ্জের ঘটনায় পরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ২ জনকে আটক করা হয়। জানা গিয়েছে নিহত ব্যক্তি বিমা সংস্থা ও চেন মার্কেটিং-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন। তবে তাঁর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ ছিল না বলেই পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া ডায়েরি থেকেও দাম্পত্য সমস্যার ইঙ্গিত মিলেছে। সিআইডি-কে তদন্তে যুক্ত হতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, ব্যক্তিগত কারণেই খুন করা হয়েছে। খুনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই৷
advertisement
আরও পড়ুন- মোদি-জিনপিংয়ের নৈশভোজে ছিল এলাহি খাওয়াদাওয়া, চিংড়ি-মটন-বিরিয়ানিতে মজলেন চিনা রাষ্ট্রপতি
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চেন মার্কেটিং-এর ব্যবসার জন্য রামপুরহাটের এক ব্যক্তিকে প্রায় ছ'লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন নিহত বন্ধুপ্রকাশ পাল। তাঁর স্ত্রী বিউটি পালের ফোনের কল লিস্ট থেকেও সেই ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছে। খুনের কিনারা করতে রামপুরহাটের সেই ব্যক্তির খোঁজে পুলিশ। অন্যদিকে নিহত বন্ধুপ্রকাশ পালের প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি,
- খুনের দু'দিন আগে, অষ্টমীর সকালে এলাকায় বাইক নিয়ে রেইকি করে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা
- প্রতিবেশীদের বাড়ি গিয়ে পাল দম্পতির সম্পর্কে খোঁজও নিয়েছিল
নবমীর রাতেও পাল দম্পতির বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবককে। এলাকাবাসী দেখে ফেলায় তারা বাইক নিয়ে চম্পট দেয় বলে দাবি।
মঙ্গলবার দশমীর দিন জিয়াগঞ্জের লেবুতলার বাড়ি থেকে স্কুলশিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল ও ছেলের দেহও। প্রতিবেশীদের বয়ান থেকে দুষ্কৃতীদের স্কেচ তৈরি করাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
আরও দেখুন