বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে তলব করা হয় মহেন্দ্র আগারওয়ালকে। টানা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিআইডি সূত্রের খবর, মহেন্দ্রের থেকে মিলেছে তিনটি মোবাইল ফোন নম্বর, যেগুলো অসমের বলে অনুমান। মহেন্দ্রের সঙ্গে এই ব্যক্তিদের কীভাবে পরিচয়? তারার কী সকলেই পূর্ব পরিচিত? জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা৷ সিআইডির দাবি এর পিছনে বড়ো হাওয়ালা চক্র রয়েছে। ব্যাগে করে টাকা যিনি রেখে গিয়েছিল মহেন্দ্রর অফিসে তিনি পূর্ব পরিচিত বলে অনুমান। কে সেই ব্যক্তি? একজন নয় আরও অনেকে জড়িত এই চক্রে, অনুমান গোয়েন্দাদের।
advertisement
ঘটনার দিন মহেন্দ্র আগারওয়াল অফিসে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় ছিলেন কয়েকজন তার অফিসের স্টাফ। সেই স্টাফদের ওপর নজর এবার সিআইডির।এই চক্রে জড়িত অনেকে, দাবি সিআইডির। এর আগে গত ২০ জুলাই অসমে যান রাজেশ ও ইরফান । ২১ জুলাই কলকাতায় মহেন্দ্র আগারওয়ালের অফিস থেকে ৭৫লক্ষ টাকা যায় এমএলএদের হাতে। আবার গত ২৯ জুলাই যান অসমে, ৩০জুলাই মহেন্দ্র আগারওয়ালের অফিস মারফত টাকা পান এমএলএরা৷ এই চক্রতে আর কারা জড়িত, জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইছে সিআইডি।
ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ককাণ্ডে ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগারওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও নয়া তথ্য মিলেছে। সিআইডি সূত্রে খবর,তিন এমএলকে যে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল সেটা তার টাকা নয় এমনটাই দাবি মহেন্দ্রর। অন্য এক ব্যক্তি ট্রলি ব্যাগে করে মহেন্দ্রর অফিসে টাকা দিয়ে যান। মহেন্দ্র জানতেন না ব্যাগের মধ্যে টাকা রয়েছে। পরে অন্য এক ব্যক্তি এসে মাহেন্দ্রর অফিস থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে যান এমএলএদের কাছে।বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের পর ছাড়া হয় মহেন্দ্রকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর থেকে মিলতে পারে আরও কয়েকজনের নাম। যাঁরা এই চক্রে জড়িত। জানার চেষ্টা করছে সিআইডি।