শনিবার মহেন্দ্র আগরওয়াল ভবানী ভবনে আসেন। মহেন্দ্রর অফিসের তিন কর্মীকে শনিবার ভবানী ভবনে তলব করা হয়। দীর্ঘক্ষণ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কারণ ঘটনার দিন মহেন্দ্র ছিলেন না অফিসে। তিনি এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেসময় যে কর্মীরা অফিসে ছিলেন তাদেরকে ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। হাওয়ালা মাধ্যমে এসেছিল আটচল্লিশ লক্ষ টাকা সে ব্যাপারে নিশ্চিত তদন্তকারীরা।
advertisement
আরও পড়ুন Kolkata News: ডেকে নিয়ে যাওয়ার পরই অসুস্থ, পুলিশের মারে মৃত্যু যুবকের? মারাত্মক অভিযোগ কলকাতায়
জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ঘটনা দিন মাহেন্দ্র অফিসে ছিলেন না। তাঁর মায়ের মৃত্যু জন্য তিনি বাড়িতে গিয়েছিলেন। সে সময় অফিসের কিছু কর্মী ছিলেন। সিআইডি সূত্রে খবর, অসমে পাঁচ ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের নাম জানা গিয়েছে। তাদের মাধ্যমে এই টাকা এসেছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মিলেছে অসমের কয়েকটি ফোন নম্বর। তাদের সঙ্গে মহেন্দ্রর কীভাবে যোগাযোগ ছিল? এই টাকা লেনদেন আগেও কি হয়েছে মহেন্দ্র অফিস থেকে? কেন বার বার মহেন্দ্র অফিসকে লেনদেন এর মাধ্যম হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল? মহেন্দ্রর অফিসে তিন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চায় সিআইডি।
তবে মহেন্দ্র আগারওয়ালের বয়ান এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। তাই তাঁর গোপন জবান বন্দি নেওয়া হবে বলে সিআইডি সূত্রে খবর। হাওয়ালায় এই চক্রে জড়িত আরও অনেকে। তাদের খোঁজ করছে সিআইডি। এই জাল কত দূর বিস্তৃত জানতে চায় সিআইডি তদন্তকারীরা। অসম - বাংলা ঝাড়খণ্ডের লিংক খোঁজার চেষ্টা করছে সিআইডি তদন্তকারীরা। মহেন্দ্র আগারওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মিলেছে একাধিক তথ্য, দাবি সিআইডির।